আবারও সেই চোকার্স তকমাই সঙ্গী দক্ষিণ আফ্রিকার

আইসিসির প্রতিযোগিতাগুলোতে দক্ষিণ আফ্রিকার পরিণতি প্রায় সবারই জানা। দারুণ দল নিয়ে টুর্নামেন্টে এলেও বিদায় সেই নকআউট পর্বে। বারবার একই পরিণতি দেখে চোকার্স তকমাটা প্রায় পাকাপাকিভাবেই লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রোটিয়াদের গায়ে। পরিস্থিতিটা পাল্টাতে পারলেন না দক্ষিণ আফ্রিকার তরুণ ক্রিকেটাররাও। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে বিদায় নিতে হলো দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ হোয়াইটওয়াশ ও টি-টোয়েন্টি হেরে পাকিস্তান জাতীয় দল যখন দিশেহারা, তখন তাদের মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফুটিয়েছে তাদেরই উত্তরসূরি জুনিয়র দল। আজ পাকিস্তানের অনূর্ধ্ব-১৯ দল কোয়ার্টার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে। পাকিস্তানের কাছে ৩ উইকেটে হেরে শিরোপার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল প্রোটিয়াদের।
আজ ক্রাইস্টচার্চে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে পাকিস্তানি বোলারদের তোপের মুখে পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করলেও ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৮৯ রানেই শেষ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ৪৩ রানের মধ্যে চারটি উইকেট হারিয়ে বড় স্কোর গড়ার স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিতে হয় তাদের। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬০ রান করেন ওয়ান্দিলে মাকুইতো এবং ৩৬ করেন জেসন নাইমেন্দ।
পাকিস্তানের পক্ষে ২৯ রানে ৩টি উইকেট নেন মোহাম্মদ মুসা। দুটি উইকেট পান শাহিন শাহ আফ্রিদি। আর একটি করে উইকেট পান হাসান খান ও আরশাদ ইকবাল।
১৯০ রান তাড়া করতে নেমে বিপদে পড়তে হয়েছিল পাকিস্তানকেও। ১১১ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে একসময় হারের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল তারা। তবে আলি জারইয়াব আসিফের হার না মানা ৭৪ রানের ইনিংস জয়ের বন্দরে নিয়ে যায় পাকিস্তানকে। ফলে ১৩ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। সাদ খান ২৬ ও রোহাইল নাজির ২৩ করেন।
ব্যাট হাতে অবদান রাখার পর দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নিয়েছেন জেসন নাইমেন্দ।