তুষার-রাজ্জাককে সতীর্থদের সম্মাননা
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দুজনই দিন কয়েক আগে গড়েছেন দুটি বিরল রেকর্ড। এর আগে বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার ছুঁতে পারা তো দূরের কথা, যেতে পারেননি কাছাকাছিও। অথচ বোর্ড থেকে তুষার ইমরান কিংবা আবদুর রাজ্জাকের জন্য কোনো সম্মাননা তো দূরের কথা, পাঠানো হয়নি কোনো অভিনন্দন বার্তাও। সেই জায়গা থেকেই হয়তো বা ক্রিকেটাররাই কাঁধে তুলে নিলেন তুষার-রাজ্জাককে প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়ার ভার।
চলতি বিসিএলেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলফলক পেরিয়ে যান তুষার ইমরান। তুষারের রেকর্ড গড়ার অল্প সময়ের মধ্যে আবদুর রাজ্জাকও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তুলে নেন নিজের ৫০০তম উইকেট। দুজনই বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে গড়েছেন কীর্তি দুটো।
বোর্ড মনে রাখুক না রাখুক, ক্রিকেটটা যেহেতু ক্রিকেটাররাই খেলেন, তাঁরা তো ঠিকই জানেন এমন অর্জনের উচ্চতাটা কতটুকু! তাই তো, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টসের আগমুহূর্তে জ্যেষ্ঠ দুই কীর্তিমানকে স্মারক দিয়েই সম্মানটা জানালেন মাশরাফি-সাকিবরা।
মাশরাফি বিন মুর্তজা শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দিয়েছেন তুষার ইমরানের হাতে। আবদুর রাজ্জাক যখন ফর্মের তুঙ্গে ছিলেন, ঠিক তখনই দলে ঢুকেছিলেন সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি স্পিনে রাজ্জাকের উত্তরসূরি যে সাকিব, সেটা উচ্চারিত হচ্ছিল বারবারই। হয়েছেও তাই, শেষ কবছর ধরে সাকিবই নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণের। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডারই বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজ্জাকের সম্মাননা।
এর আগে রুবেল হোসেনকেও সম্মাননা দেওয়া হয়েছিল। ১০০ ওয়ানডে উইকেট পাওয়ার পর জাতীয় দলের পক্ষ থকে তাঁকে ট্রফি দেওয়া হয়েছিল।
বাংলাদেশের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একমাত্র ৫০০ উইকেট শিকারি বোলার রাজ্জাক। দ্বিতীয় সেরা এনামুল হক জুনিয়রের, তাঁর শিকার ৪৩৮ উইকেট।
রাজ্জাক ইনিংসে পাঁচ বা তার চেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন ৩০ বার। ম্যাচে সবচেয়ে বেশিবার ১০ উইকেট প্রাপ্তির রেকর্ডটাও রাজ্জাকের ঝুলিতেই, আটবার। ছয় ম্যাচে ৩৮ উইকেট নেওয়া রাজ্জাক ছিলেন গতবারের বিসিএলে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বোলার।
এদিকে তুষার শুধু ১০ হাজার রানই নয়, সবচেয়ে বেশি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন, ১৫৫টি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরিও হাঁকান তিনি। ২৬টি সেঞ্চুরি করেন পাঁচটি টেস্ট ও ৪১টি ওয়ানডে খেলা এই ক্রিকেটার।