দারুণ জয়ে ফাইনালে টাইগারদের সঙ্গী লঙ্কানরাই

জিম্বাবুয়ে একটু কষ্টই পেল বোধ হয়। কাইল জারভিস সংবাদ সম্মেলনে বলে গিয়েছিলেন, ফাইনাল খেলতে বাংলাদেশের দিকেই তাকিয়ে আছেন তাঁরা। অথচ হলো পুরো উল্টো, ম্যাচে বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়েই শনিবারের ফাইনালে পা রাখল শ্রীলঙ্কা।
নিজেদের ইনিংসে বাংলাদেশ খেলতে পারেনি ৫০ ওভারের অর্ধেকটাও। ব্যাটিং বিপর্যয়ের বাজে একটা দিনে বাংলাদেশ গুটিয়েছে নিজেদের নবম সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ ৮২ রান করে।
৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিং করতে হয়েছে ১১.৫ ওভার পর্যন্ত। কোনো উইকেট না হারিয়েই লঙ্কানরা পৌঁছে গেছে জয়ের বন্দরে। ৭১ বলে ৮৩ রানের ঝড়ো জুটি গড়ে দলকে অনায়াসেই জয় এনে দিয়েছেন দুই লঙ্কান ওপেনার দানুশকা গুনাথিলাকা (৩৫) ও উপুল থারাঙ্গা (৩৯)।
ব্যাটিংয়ে নেমেই বাংলাদেশি বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েছেন দুই লঙ্কান উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান দানুশকা গুনাথিলাকা আর উপুল থারাঙ্গা। বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা যেখানে দাঁড়াতেই পারলেন না উইকেটে, সেখানে গুনাথিলাকা-থারাঙ্গা রান তুললেন ওভারপ্রতি ৬-এর ওপর গড় নিয়ে।
গুনাথিলাকা তিন চারের বিপরীতে হাঁকিয়েছেন দুই ছক্কা। অপরাজিত ছিলেন ৩৭ বলে ৪১ রানে। উপুল থারাঙ্গা আরেক পাশ আগলে খেলেছেন ৩৫ বলে ৩৩ রানের ইনিংস।
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম থেকেই তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসানের ব্যাট বাংলাদেশের মাথার ওপরে ছিল ছত্রছায়া হয়ে। শেষ ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তাও সাকিব-তামিম লড়েছিলেন বলেই পাওয়া গিয়েছিল মাঝারি টাইপের পুঁজি। শেষ ম্যাচটায় ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব-তামিম, ব্যর্থ বাংলাদেশ দলও।
মুশফিকুর রহিম কিংবা মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান অথবা নাসির হোসেন—কেউই ধরতে পারেননি দলের হাল। আর সে কারণেই দুই ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে গেল এক ইনিংসের সমান সময়েই।