ফাইনালে জয় পেতে মরিয়া মাশরাফিরা
বাংলাদেশের ফাইনালটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচের পরেই। দুই বোনাস পয়েন্টসহ ১০ পয়েন্টে শনিবারের ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিলেন সাকিব-তামিমরা। কিন্তু ফাইনালের ঠিক আগের ম্যাচেই বাংলাদেশকে বরণ করে নিতে হয়েছে লজ্জার হার। মাশরাফিরা অবশ্য এখন ভাবছেন শুধুই ফাইনাল নিয়ে। শিরোপা জয়ের অন্তিম লড়াইয়ে লঙ্কানদের একচুলও ছাড় দিতে চান না বাংলাদেশ অধিনায়ক।
সর্বশেষ ম্যাচে মাত্র ৮২ রানে গুটিয়ে গিয়ে ১০ উইকেটের বড় পরাজয়। অমন হারের পরে চাপটা স্বভাবতই বেড়ে গেছে বাংলাদেশের ওপর। কিন্তু মাশরাফি বিন মুর্তজা মানতে চাইলেন না তেমনটা। ম্যাচের আগে শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন স্বয়ং দলপতিই।
সেখানেই জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জিতলেও চাপটা থাকতো একই রকম, ‘জিতলেও ফাইনালে আমরা জয় পাওয়ার জন্য উদগ্রীব। তবে ম্যাচের আগে আমরা খুব বেশি চিন্তা করতে চাই না। আমার কাছে মনে হয়, বেশি চিন্তা করলে আরো চাপ সৃষ্টি হবে। এমনিতে ফাইনাল ম্যাচে চাপ থাকে। গতকাল জিতলেও একই ধরনের চাপ থাকত। গত ম্যাচে হারাতে চাপ আরো কমে যাওয়ার কথা। ফাইনাল ম্যাচে আমরা অবশ্যই জয় পেতে চাই।’
ঘরের মাঠে এর আগে ত্রিদেশীয় সিরিজসহ তিনটি ফাইনালে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। ফলাফলটা অবশ্য মোটেও কোনো সুখস্মৃতি উপহার দিচ্ছে না। তিন ফাইনালের তিন পরাজিত দলের নামই বাংলাদেশ। মাশরাফি নাকি ভুলেই গিয়েছিলেন তিন ফাইনালের কথা! সাংবাদিকের কথায় মনে পড়ল তাঁর, ‘আপনার কথা শুনেই মনে হলো আগের তিন ফাইনালে হারের কথা, আগে মনে ছিল না। মনে না করালেই পারতেন (হাসি…)। যাই হোক। প্রত্যেকটা মানুষের জন্যই তো নতুন সুযোগ।’
সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল রয়েছেন দুর্দান্ত ফর্মে। জয় পাওয়া তিন ম্যাচেই রেখেছেন অবদান। মাশরাফি অবশ্য সতর্ক করে দিয়েই বললেন সাকিব, তামিমরাও ছিলেন সেই পরাজিত দলে। এবার সেসব হার-জিতের পরিসংখ্যান পেছনে ফেলে ফাইনালে মাশরাফির লক্ষ্য ইতিবাচক ক্রিকেট খেলা, ‘আমি হয়তো তিনটা ফাইনালে ছিলাম। সাকিব-মুশফিক-তামিমও ছিল। আমাদের জন্য নতুন সুযোগ, নতুন একটা ম্যাচ। হার-জিত তো থাকবেই। ইতিবাচক ক্রিকেট খেলাই হবে আমাদের লক্ষ্য।’