আবারও ধূলিসাৎ বাংলাদেশের শিরোপা স্বপ্ন
ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে বাংলাদেশ পেয়েছিল দাপুটে জয়। অনেকেই আশা করেছিলেন যে, এবারই বড় কোনো শিরোপা না জিততে পারার হতাশা ঘুচে যাবে। কিন্তু এবারও হলো না। গত তিনটি আসরের ফাইনালের মতো এবারও শিরোপা জয়ের অন্তিম লড়াইয়ে এসে ধূলিসাৎ হলো বাংলাদেশের শিরোপা স্বপ্ন। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে বাংলাদেশ হারল ৭৯ রানে।
ফিল্ডিংয়ের সময় আঙুলে চোট পাওয়ায় আজ ব্যাটিং করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। তিনি থাকলে কি ফলটা অন্য রকম হতে পারত? এই আফসোস আর আক্ষেপই হয়তো এখন ঘুরে বেড়াবে দেশের ক্রিকেট অঙ্গনে।
ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যটা খুব বেশি ছিল না। ২২২ রান। কিন্তু সেই লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে মাত্র ২২ রান সংগ্রহ করতেই তিনটি উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ধীরগতির শুরুর পর ষষ্ঠ ওভারে সাজঘরের পথ ধরেছেন তামিম ইকবাল। ভালো ফর্মে থাকা এই বাঁহাতি ওপেনার আজ ফিরেছেন মাত্র ৩ রান করে। নবম ওভারে ১০ রান করে আরেক ওপেনার মোহাম্মদ মিথুনও ফিরেছেন সাজঘরে। পরের ওভারে মাত্র ২ রান করে সাব্বিরও ফিরেছেন দুষ্মন্ত চামিরার শিকার হয়ে।
তবে চতুর্থ উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম। তাঁদের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে আশা জেগেছিল বাংলাদেশ সমর্থকদের মনে। কিন্তু ২৩তম ওভারে ২২ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন মুশফিক। এরপর প্রায় পুরোটা সময় একাই লড়াই করে গেছেন মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে তিনি আউট হয়েছেন ৭৬ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে। তাঁর পরে উইকেটে আসা পাঁচজনের কেউই পেরোতে পারেননি দুই অঙ্কের কোটা।
অভিষেক ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করে বাংলাদেশের ইনিংসটা ১৪২ রানেই গুটিয়ে দিয়েছেন সেহান মধুশঙ্কা। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন দুষ্মন্ত চামিরা ও আকিলা ধনঞ্জয়।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উপুল থারাঙ্গার ৫৬, দিনেশ চান্দিমালের ৪৫, নিরোশান ডিকওয়েলার ৪২ রানের ইনিংসগুলোতে ভর করে স্কোরবোর্ডে ২২১ রান জমা করেছে শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের পক্ষে দারুণ বোলিং করে নজর কেড়েছেন দুই পেসার রুবেল হোসেন ও মুস্তাফিজ। চারটি উইকেট গেছে রুবেলের ঝুলিতে। আর ১০ ওভার বল করে মাত্র ২৯ রানের বিনিময়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ।