'এভাবে অধিনায়কত্ব পেতে চাইনি’
গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়কের দায়িত্ব ফিরে পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজেই আবার নতুন করে নেতৃত্ব শুরু করার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু এক চোট সব হিসাব-নিকাশ বদলে দিয়েছে। বাঁ হাতের কনিষ্ঠা আঙুলে চোটে আক্রান্ত হয়ে প্রথম টেস্টের দলের বাইরে চলে যান তিনি। দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে পারবেন কি না, সেটা এখনো অনিশ্চিত। তাই ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
ঘরোয়া টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বড় আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে নেতৃত্ব দিয়ে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। জাতীয় দলের অধিনায়কত্ব এবারই প্রথম তাঁর জন্য। তবে দলের দায়িত্বভার সামলানোর জন্য তিনি যে যথেষ্টই যোগ্য, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
কাকতালীয়ভাবে পাওয়া অধিনায়কত্ব নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হলেও এভাবে নাকি দায়িত্ব পেতে চাননি মাহমুদউল্লাহ। আজ মঙ্গলবার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি, যেভাবে অধিনায়কত্ব পেয়েছি, সেভাবে পেতে চাইনি। সাকিব আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। তাঁকে হারানো দলের জন্য বড় একটা ক্ষতি। তারপরও সবারই সুযোগ দলের জন্য ভালো কিছু করা। দলের সবাই বেশ উজ্জীবিত।’
দলের সাফল্যে সবকিছুই করতে প্রস্তুত এই ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক, ‘একজন অধিনায়ক হিসেবে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা সব সময়ই থাকবে আমার। আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে দলকে ভালো ফল এনে দেওয়া, সেভাবেই কাজ করব আমি।’
গত বছর মার্চে শততম টেস্টে দলের বাইরে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তখন অনেকেই তাঁর টেস্টের শেষ দেখে ফেলেছিলেন। পরে অবশ্য আবার সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে দক্ষিণ সফরের দলে ফিরেছিলেন। সে মাহমুদউল্লাহ এখন দলের অধিনায়ক।
২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অভিষেক হওয়া মাহমুদউল্লাহ এর আগে ৩৫টি টেস্ট খেলেছেন। একটি সেঞ্চুরি ও ১৫টি হাফসেঞ্চুরিতে তাঁর মোট সংগ্রহ ১,৯৩১ রান, উইকেটও নিয়েছেন ৩৯টি।
আগামীকাল বুধবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস করতে নামবেন মাহমুদউল্লাহ। এবার অধিনায়ক হিসেবে তিনি কেমন করেন, সেটাই এখন দেখার।