চট্টলায় সবার ওপরে মুশফিক
গেল ত্রিদেশীয় সিরিজে তামিম ইকবাল মিরপুরের শেরেবাংলায় গড়েছিলেন এক মাঠে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ড। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টেস্টের সাদা পোশাকে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা ছিল মুশফিকুর রহিমের দখলে। চট্টগ্রামের মাঠে এবার এক হাজার রান করার কৃতিত্ব গড়লেন সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
চাঁটগায় টাইগাররা নেমেছে সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে। ইমরুল কায়েসের আউট হওয়ার পর মুশফিক এসেছিলেন উইকেটে। জহুর আহমেদের মাঠে ৯৯৮ রান নিয়ে শুরু করেছিলেন ব্যাটিং। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেই রান পার করে মুশফিক বনে যান শহর চট্টলার মাঠটিতে এক হাজার রান করা প্রথম ব্যাটসম্যান।
দারুণ ব্যাটিংয়ে অর্ধশতক হাঁকিয়ে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রয়েছেন ৭০ রানে অপরাজিত। এখন পর্যন্ত জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে ১৪ টেস্টে এক শতক আর সাত অর্ধশতকে ৪৮.০৪ গড় নিয়ে মুশফিকের রানসংখ্যা ১,০৫৭।
গত বছরের ডিসেম্বরে টেস্ট অধিনায়কের জায়গা হারানো মুশফিক ক্যারিয়ারের শুরুতে এতটা ধারাবাহিক না থাকলেও প্রমাণ দিয়েছেন নিজের সামর্থ্যের। আর শেষ কয়েক বছরে তো দলের অন্যতম ব্যাটিংস্তম্ভ হিসেবে ধরা হচ্ছে এই মুশফিককেই। গেল বছর টেস্টে রান সংগ্রাহকের দিক দিয়ে ছিলেন সেরা বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান।
হোম অব ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান তামিমের হলেও চট্টগ্রামে নিজের ঘরে কিন্তু তিনি রয়েছেন তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। মুশফিকের সমান এক শতক আর সাত অর্ধশতকে তামিমের সংগ্রহ ৮৫৫ রান।
তৃতীয় স্থানে থাকা মুমিনুল হকের একটা ব্যাপার অবাক করবেই। সাগরিকার এই মাঠে টেস্টের প্রথম দিনে শতক হাঁকানো মুমিনুল বরাবরই করে এসেছেন কাজটা। এই মাঠে তাঁর কোনো অর্ধশতকই নেই। সবই তিনি পরিণত করেছেন শতকে। টেস্ট ক্যারিয়ারে পাঁচ সেঞ্চুরির চারটিই তিনি করেছেন চট্টগ্রামে। কক্সবাজারের এই লিটল মাস্টারের রানসংখ্যা ৭১৫।
চোটের কারণে প্রথম টেস্ট থেকে ছিটকে পড়া বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের অবস্থান তালিকার চারে। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের মোট রান ৭০৭। ভিনদেশি কুমার সাঙ্গাকারা ৫৯৮ রান নিয়ে রয়েছেন পঞ্চম অবস্থানে।