এমন ব্যাটিংই প্রত্যাশা ছিল তামিমের

দিন শেষে একটা আফসোস তামিম ইকবাল করতেই পারেন। দারুণ ব্যাটিং উইকেটে তিনি আটকে রইলেন অর্ধশতকেই। অবশ্য নিজের হতাশাকে পাশে রেখে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনশেষে বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখলেন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।
সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে মুমিনুল হকের অপরাজিত ১৭৫ রানের সুবাদে প্রথম দিনশেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩৭৪ রান। লাঞ্চের আগেই ফিরেছেন তামিম ইকবাল এবং ইমরুল কায়েস। এরপর দলের হাল ধরেন মুমিনুল হক এবং সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। এই দুজনের ২৩৬ রানের জুটিতে বাংলাদেশ গড়ে বড় সংগ্রহ । তৃতীয় উইকেট জুটিতে আগের রেকর্ডে মুমিনুল একপাশে ছিলেন, মুশফিকের বদলে সেদিন ছিলেন এই তামিমই।
দিনের শেষে পরপর দুই বলে ফিরে যান মুশফিকুর রহিম(৯২) এবং লিটন দাস(০)। শেষের এই ছোট ‘বিপর্যয়’ বাদ দিলে পুরো দিনটাই ছিল বাংলাদেশের, সেটা একবাক্যেই মেনে নিয়েছেন ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা তামিম, ‘আমি এখনও বিশ্বাস করি দিনটা আমাদের জন্য দারুণ ছিল। যেভাবে সবাই ব্যাটিং করেছে সেটা দেখতেও ভাল লেগেছে। একদম প্রথম বল থেকেই আমরা বেশ আক্রমণাত্মক এবং ইতিবাচক ক্রিকেট খেলেছি। এমনটা দেখা অবশ্যই ভাল লাগার।’
হঠাৎ দুই উইকেটের পতন অবশ্য আতঙ্ক ছড়িয়েছিল বাংলাদেশ শিবিরেও। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ওপেনার বলেন, ‘তৃতীয় উইকেট জুটিতে যেভাবে জুটিটা দাঁড়িয়েছিল যদি আমরা শেষটা ভালোভাবেই করতে পারতাম তবে দিনটা আরও পূর্ণতা পেত। হঠাৎ দুই উইকেট পড়ে যাওয়ায় আমরাও চিন্তিত ছিলাম যেন ঐ বিপর্যয়ে না পড়তে হয়। যখনই একটা বড় জুটি হয় তখনই ঐরকম বিপর্যয় আমাদের ক্ষেত্রে একটু বেশিই হয়।’
দ্বিতীয় দিনের আগে শক্ত একটা ভিতের উপরে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ। চাইলেই এখান থেকে পুঁজিটা নিয়ে যাওয়া যাবে অনেক উপরে। দেশসেরা ব্যাটসম্যানের সতীর্থদের বার্তা দিলেন ইনিংসকে আরো বড় করার, ‘আমরা এখন ভালো অবস্থানে আছি। পরের ব্যাটসম্যানদের উচিত হবে যতটা পারা দলের ইনিংসটাকে আরো বড় করা। একটা বড় সংগ্রহ করতে পারলে ফ্ল্যাট উইকেট হোক আর যাই হোক প্রতিপক্ষের জন্য সব সময়ই সেটা অনেক বড় চাপ।’