এমন মুমিনুলে মুগ্ধ তামিম

চোখ ধাঁধানো ব্যাটিংয়ে মুমিনুল হক মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন পুরো দিন জুড়ে। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ছিল মুমিনুল আলোয় উদ্ভাসিত। তামিম ইকবাল সতীর্থের খেলা দেখেছেন ড্রেসিংরুমে বসেই। দিনশেষে দারুণ ইনিংসের জন্য মুমিনুলকে বাহবা দিতে ভুললেন না এই বাঁহাতি ওপেনার।
দিনের শুরুটা তামিম ইকবাল করেছিলেন বেশ আক্রমণাত্মক ভাবে। এর পর মুমিনুল এসে সপাটে চালিয়েছেন হাতের ব্যাট আর এখানটাতেই তামিমের মুগ্ধ হয়েছেন বেশি। প্রথম দিনশেষে এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান বলেন, ‘মুমিনুলের ইনিংসটা মুগ্ধ করার মত ছিল। প্রথম থেকেই আক্রমণ করে খেলেছে সে, এবং শেষ পর্যন্তও সেভাবেই খেলেছে। সেঞ্চুরি করার সময়ও তার স্ট্রাইক রেট একশ’র ওপরে ছিল।’
ওয়ানডে দলে তো মুমিনুলের সুযোগটা মেলেই না।হাথুরু যুগে টেস্টেও ঠিকঠাক নিজের পছন্দের জায়গাটায় ব্যাট করতে পারেননি এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের। বাদ পড়েছিলেন শততম টেস্টে। শেষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট সিরিজের দলেই ছিলেন না প্রথমে। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে দলে ফিরেছিলেন সেবার।
নিজের সামর্থ্যের প্রমাণটা দেওয়ার ছিল মুমিনুলের। অপরাজিত শতকে সেই কাজটা ভালই করেছেন বলে মনে করছেন তামিম ‘আমার কাছে মনে হয় তার প্রমাণ করার জায়গা ছিল। সেটা দারুণভাবে করেছে সে। আমারও ভালো লেগেছে তা। তাঁর এমন উদযাপনের কারণটা আমি জানি।’
নিজের উইকেটটাকে বিলিয়ে না দিয়ে দলের ইনিংসকে বড় করতে ছুটছিলেন প্রায় তিন বছর পর টেস্টে শতকের দেখা পাওয়া মুমিনুল। তামিমও দ্বিশতকের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা সতীর্থকে কৃতজ্ঞতা আর শুভকামনা জানাতে ভোলেননি, ‘এমন উইকেটে আমাদের জন্য ওর উইকেটটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নিজের উইকেটের মূল্য সে বুঝেছে এবং উইকেটটা দিয়ে আসেনি। অনেকসময় এমন উইকেটে ব্যাটসম্যানরা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে ভুল শট খেলে আউট হয়ে আসে। সে তা করেনি। এখন অপরাজিত আছে সে, আশা করি সে ইনিংসটা আরো বড় করবে।’
টেস্টের প্রথম দিনেই বড় স্কোরের ভিতটা গড়ে দেয়ার জন্য মুমিনুলের পাশাপাশি ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য দাবিদার মুশফিকুর রহিমও। ২৩৬ রানের রেকর্ড জুটির একপাশে ছিলেন সাবেক টাইগার টেস্ট অধিনায়কও। জুটিটার গুরুত্ব তুলে ধরে তামিম বলেন, ‘বড় একটা জুটি গড়া আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজন ছিল। মুশফিক এবং মুমিনুল দুজনই বেশ আস্থার সাথে ব্যাট করেছে, ইতিবাচকও ছিল তারা।’