একজন সঙ্গীর আক্ষেপ মাহমুদউল্লাহর

চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স ছিল চমৎকার। দু-একজন বাদ দিলে প্রত্যেকেই নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছেন। যাতে সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল ছিলেন লিটল মাস্টার মুমিনুল হক। খেলেছেন ১৭৬ রানের চমৎকার একটি ইনিংস। সে ধারাবাহিকতায় সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম খেলেছেন ৯২ রানের দারুণ একটি ইনিংস। কম যাননি ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া মাহমুদউল্লাহও। ৮৩ রানের অসাধারণ একটি ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন।
দারুণ একটি ইনিংস খেলেও কিছুটা আপেক্ষ থাকতেই পারে মাহমুদউল্লাহর, সেঞ্চুরি না পাওয়ার। এর জন্য বাংলাদেশ অধিনায়ক ভাগ্যকেই দুষতে পারেন। নিজে অপরাজিত ছিলেন, কিন্তু সঙ্গীর অভাবে শেষ পর্যন্ত তিন অঙ্কের কোটায় পৌঁছাতে পরেননি।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বার সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও অপূর্ণতা থেকে গেল তাঁর। এর আগে ২০১০ সালে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৬ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেও সঙ্গীর অভাবে পারেননি শতক পূর্ণ করতে।
অবশ্য সে বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিলটনে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। তাঁর ১১৫ রানের ইনিংসটি এখন পর্যন্ত ক্যারিয়ারের একমাত্র টেস্ট শতক।
মাহমুদউল্লাহর টেস্ট ক্যারিয়ার খুব একটা সমৃদ্ধ না হলেও শেষ দিকে দলের প্রয়োজনে দারুণ কিছু ইনিংস খেলেছেন, যা হয়তো অনেকেরই চোখে পড়েনি। যেমনটা একসময় পড়েছিল সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের। একসময় তিনিই মাহমুদউল্লাহকে টেস্টে অযোগ্য ঘোষণা করেছিলেন। গত বছর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শততম টেস্টে তিনি ছিলেন দলের বাইরে।
সে সময় অনেকেই মাহমুদউল্লাহর টেস্টের শেষ দেখে ফেলেছিলেন। অথচ তিনিই এখন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক, হোক না সেটা ভারপ্রাপ্ত। সে হাথুরুর দলের বিপক্ষেই তিনি লাল-সবুজের দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দলকে উজ্জীবিত করার পাশপাশি নিজেও ছিলেন উজ্জ্বল। তাই আরো একবার প্রমাণ করলেন, তিনি হারিয়ে যাওয়ার নয়, দলের প্রয়োজনে রুখে দাঁড়ানোর সামর্থ্য আছে তাঁরও।