চট্টগ্রাম টেস্ট শেষ পর্যন্ত ড্রই হলো
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে মুমিনুল হক খেলেছিলেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৭৬ রানের ইনিংস। এবার দ্বিতীয় ইনিংসেও ঝলসে উঠেছে মুমিনুলের ব্যাট। এবারও শতক হাঁকিয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। শতকের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন লিটন দাসও। কিন্তু শেষপর্যন্ত মাত্র ৬ রানের জন্য শতক পূর্ণ করতে পারেননি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। শেষ বিকেলে এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছিল, নিশ্চিত ড্রয়ের দিকেই যাচ্ছে ম্যাচ। তাই ১৭ ওভার বাকি থাকতেই দুই দল ড্র মেনে নিয়েছে।
প্রথম ইনিংসে ২০০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু করেছিল বাংলাদেশ। গতকাল চতুর্থ দিনের খেলায় ৮১ রান সংগ্রহ করতেই তিনটি উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছিল টাইগাররা। তবে আজ চট্টগ্রাম টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে লঙ্কান বোলারদের ভালোভাবেই মোকাবিলা করেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৩০৭ রান করে স্বাগতিকরা।
চতুর্থ উইকেটে ১৫৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে মুমিনুল হক ও লিটন দাস। ম্যাচে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়াতে যা অন্যতম ভূমিকা রাখে।
এই ম্যাচে দারুণ একটি কীর্তে গড়েছেন মুমিনুল হক। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এক টেস্টের দুই ইিনংসে সেঞ্চুরি করেন তিনি। ১০৫ রান করেন। সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও মাত্র ছয় রানের আক্ষেপ নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন লিটন।
চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৫১৩ রানের জবাবে শ্রীলঙ্কা স্কোরবোর্ডে জমা করেছিল ৭১৩ রান। পেয়েছিল ২০০ রানের বড় লিড।
দুদিন ধরে লাগাতার ফিল্ডিংয়ের পর ব্যাট হাতে বাংলাদেশের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। ইনিংসের ১৫তম ওভারে ১৯ রান করে সাজঘরমুখী হয়েছেন ইমরুল কায়েস। ২২তম ওভারে ৪১ রান করে তামিমও ধরেছেন সাজঘরের পথ। দিনের শেষপর্যায়ে আউট হয়ে গেছেন নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমও।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৫১৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে সাত উইকেট হারিয়ে ৭১৩ রান সংগ্রহ করে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে শ্রীলঙ্কা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৯৬ রানের ইনিংস খেলেছেন কুশল সিলভা। ১৭৩ রান করেছেন ধনঞ্জয় ডি সিলভা। ১০৯ রানের ইনিংস এসেছে রোশান সিলভার ব্যাট থেকে। অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমালও খেলেছেন ৮৭ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মুমিনুল হকের ১৭৬, মুশফিকুর রহিমের ৯২, মাহমুদউল্লাহর ৮৩ রানের ইনিংসগুলোতে ভর করে স্কোরবোর্ডে ৫১৩ রান জমা করেছিল বাংলাদেশ।