নিজের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রাজ্জাক
যে বয়সে ঢাকা টেস্টের দলে সুযোগ পেলেন আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশি অনেক ক্রিকেটারই তখন শেষটাই দেখে ফেলেন। অথচ দলে ফিরেই বুঝিয়ে দিয়েছেন হারিয়ে যাওয়ার পাত্র নন তিনি। এই বাঁহাতি স্পিনার প্রত্যাবর্তনের টেস্টটাকে স্মরণীয় করে রাখলেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চলমান টেস্টের প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নিজের সামর্থ্যের প্রমাণটা ভালোভাবেই দিয়েছেন। স্বাভাবিক কারণে এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত এই অভিজ্ঞ স্পিনার।
রাজ্জাকের টেস্ট ক্যারিয়ার খুব একটা রঙিন নয়। যে কারণে দল থেকেও ছিটকে পড়েছিলেন। তাও আবার প্রায় চার বছর আগে। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ ধারাবাহিকতায় যখন আবার খেলতে নামলেন জাতীয় দলের জার্সি পরে, তখন আর সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষবার টেস্টে মাঠে নেমেছিলেন রাজ্জাক। আর ২০১৮ সালের সেই ফেব্রুয়ারিতেই আবার দলে ফিরে উজ্জ্বলতা ছড়ালেন।
রাজ্জাকের বোলিং নৈপুণ্যেই সফরকারী শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে গেছে মাত্র ২২২ রানে। তাই উচ্ছ্বসিত রাজ্জাক বলেন, ‘জাতীয় দলে ফেরার অনুভূতিটাই অন্যরকম। আমি আগেও বলেছি এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এমন সুযোগ পাওয়া অবশ্যই ভালো লাগার।’
অন্য দেশগুলোর কথা বাদ দেওয়া যাক, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অন্তত ৩৫ বছর বয়সে ফিরে এমন নৈপুণ্য দেখানোর নজির হয়তো প্রথম। স্পিন বিষে শ্রীলঙ্কাকে নীল করা রাজ্জাক নিজেও অভিভূত নিজের পারফরম্যান্সে, ‘বোর্ডকে অবশ্যই ধন্যবাদ আমাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য। এখন মনে হচ্ছে, কারো জন্যই সুযোগ শেষ হয়ে যায় না। ফিটনেস এবং অন্য ব্যাপারগুলোতে মনোযোগী হলে সুযোগ ফিরে আসবেই।’
চার বছর ধরে টেস্ট দলে উপেক্ষিতই ছিলেন। বড় দৈর্ঘ্যের ম্যাচে ঘরোয়া ক্রিকেটে রাজ্জাক নিয়মিতই পারফর্ম করে যাচ্ছেন। সুযোগ যখন সামনে এসেছে, ইনিংসের সেরা বোলার হয়ে বাঁহাতি এই স্পিনার প্রমাণ দিলেন নিজের সামর্থ্যের।
টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের সেরা বোলিংটা রাজ্জাক করলেন প্রত্যাবর্তনের টেস্টেই। এই পারফরম্যান্সকে ‘জবাব’ হিসেবেই দেখছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রাজ্জাক বলেন, ‘আমি জবাব হিসেবে দেখছি না। যখনই সুযোগ এসেছে ভালো করার চেষ্টা করেছি। যদি ভালো করি খুশি হয়েছি। খারাপ করলে তার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছি। এটাকে জবাব বলা উচিত হবে না।’