কেবল ব্যতিক্রম ছিলেন মিরাজ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/02/09/photo-1518164780.jpg)
মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নেমেছিল স্বাগতিক বাংলাদেশ। কিন্তু তা মোটেও পারেননি স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। এতটাই আসা-যাওয়ায় ব্যস্ত ছিলেন যে দলের সংগ্রহও খুব একটা বড় করতে পারেননি। আগের দিনের ৪ উইকেটে ৫৬ রান নিয়ে খেলতে নেমে আর মাত্র ৫৪ রান যোগ করতে পেরেছে বাংলাদেশ। আজ পুরো এক সেশনও ব্যাট করতে পারেনি মাহমুদুউল্লাহ বাহিনী। তার আগেই সবাইকে সাজঘরে ফেরান লঙ্কান বোলাররা। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিলেন তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।
মিরাজই বাংলাদেশের পক্ষে ইনিংস-সেরা ব্যাটিং করেছেন। মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে মিরাজ দলীয় স্কোর একশ’ ছাড়ান। কিন্তু ৩৪ রান যোগ করেই এ জুটি ভেঙে যায় আকিলার স্পিনে। মাহমুদউল্লাহ ফিরে গেলে দলের বাকিদের অসহায় আত্মসমর্পণে মিরাজ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৩৮ রানে।
মিডলঅর্ডারে নেমে মিরাজ ৩৮ রানের যে চমৎকার ইনিংসটি খেলেন, তা প্রশংসার দাবি রাখে। যেখানে অন্য সিনিয়র টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ, সেখানে মিরপুরের এই শুষ্ক উইকেটেও যে ধৈর্য ধরে ব্যাটে রান তোলা যায়, সেটাই মিরাজ দেখিয়েছেন।
অবশ্য টেস্টে ব্যাটিং-বোলিংয়ে দক্ষতার প্রমাণ মিরাজ এর আগেও দেখিয়েছেন। ২০ বছরের মিরাজের দক্ষতায় তাঁকে ভবিষ্যতের সাকিব আল হাসানের উত্তরসূরি ধরা হয়।
টেস্টে বল হাতে মিরাজ তাঁর দক্ষতার প্রমাণ দিয়েছেন অভিষেকেই। ২০১৬ সালে চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ইনিংস মিলে তুলে নেন ৭ উইকেট। ঢাকায় পরের টেস্টে দুই ইনিংসে ছয়টি করে উইকেট নিয়ে উজ্জ্বলতা ছড়ান। সে সিরিজেই তিনি ১৯ উইকেট নিয়েছেন আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন।
টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান না হয়েও মিরাজ দলের যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিতে জ্বলে উঠতে পারেন, হাসাতে পারেন তাঁর ব্যাটকে। গত বছর ভারতের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে চমৎকার একটি হাফ সেঞ্চুরিরও দেখা পেয়েছিলেন এই তরুণ অলরাউন্ডার।