অ্যাশেজ সিরিজ স্পট ফিক্সিংমুক্ত
ব্রিটিশ দৈনিক ‘দ্য সান’-এর খবরে প্রকাশ, স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য অ্যাশেজ সিরিজকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এমন খবরে নড়েচড়ে বসে আইসিসি। তারা ব্যাপারটি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্ত শেষে অ্যাশেজ সিরিজে স্পট ফিক্সিংয়ের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে আইসিসি থেকে জানানো হয়।
সান পত্রিকা দাবি করে, তৃতীয় অ্যাশেজ সিরিজে তাদের দুজন প্রতিবেদককে স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য এক লাখ ৮৭ হাজার মার্কিন ডলারের প্রস্তাব রাখা হয়। এই সংবাদ প্রকাশের পর আইসিসির অ্যান্টিকরাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট এই সংবাদের পক্ষে প্রমাণ সংগ্রহের জন্য পর্যবেক্ষক দল পাঠায়। তারা তখন এটাও বলে, অ্যাশেজে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ পায়নি।
দুই মাস পর অ্যান্টিকরাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট এটা নিশ্চিত করে, অ্যাশেজ সিরিজের কোনো খেলোয়াড় বা কর্মকর্তা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন। এমনকি সিরিজের কোনো ম্যাচও ফিক্সিংয়ের শিকার হয়নি।
অ্যান্টিকরাপশন ইউনিটের গেনেরাল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল বলেন, ‘সান পত্রিকার দেওয়া দলিলপত্রসহ অ্যান্টিকরাপশনের সহযোগীদের নিয়ে আমরা একটি বিশ্বমানের অনুসন্ধান চালিয়েছি। আমি খুবই আনন্দিত অনুসন্ধানে কোনো খেলোয়াড়, কোচ, কর্মকর্তা কিংবা কোনো ম্যাচের বিরুদ্ধেও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
সান পত্রিকার কথায় আইসিসির এত গুরুত্ব দেওয়ার কারণ তারাই ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সালমান বাট, মোহাম্মদ আমির ও মোহাম্মদ আসিফের ফিক্সিংয়ের কেলেঙ্কারি ফাঁস করেছিল।