সংবাদ সম্মেলনে বিধ্বস্ত মাহমুদউল্লাহ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/02/10/photo-1518264083.jpg)
আগের ম্যাচটায় নিজের জন্মদিনে মাহমুদউল্লাহ ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে উপহার পেয়েছিলেন দারুণ এক ড্র। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে সেই ব্যাটসম্যানদেরই দায়িত্বহীন ব্যাটিংয়ে হেরে গেল বাংলাদেশ। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক পরাজয়ের হতশ্রী রূপটা দেখে ফেললেন নেতৃত্বের দ্বিতীয় টেস্টেই। সিরিজ খোয়ানোর এমন হারে স্বভাবতই হতাশ মাহমুদউল্লাহ।
ইতিহাস সেরা র্যাংকিং আর ঘরের মাঠে সিরিজ জয়ের হাতছানি সামনে রেখেই ঢাকা টেস্টে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। নিজের মাঠে নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী বাংলাদেশি স্পিনাররা পেয়েছিলেন স্পিন বান্ধব উইকেট। শ্রীলঙ্কাকে দুই ইনিংসেই থামানো গিয়েছিল অল্প রানেই। কিন্তু হতাশায় মোড়ানো ব্যাটিংয়ে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশের সঙ্গী হয়ে থাকলো ২১৫ রানের বড় পরাজয়।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে মাহমুদউল্লাহ হাজির হয়েছিলেন বিধ্বস্ত মুখাবয়বে। হতাশ হবেন না-ই বা কেন? দুই ইনিংস মিলিয়েও বাংলাদেশ স্কোরকার্ডে জড়ো করতে পারেনি শ্রীলঙ্কার গড়া দ্বিতীয় ইনিংসের রান! ১১০ এবং ১২৩ রান এসেছে বাংলাদেশের দুই ইনিংস থেকে। যেখানে লঙ্কানদের দ্বিতীয় ইনিংসেই সংগ্রহ ছিল ২২৬ রান। হতাশ হওয়াটাই যে খুব স্বাভাবিক।
এমন পরাজয়ের পর মাহমুদউল্লাহর কাঠগড়ায় দলের প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তেমনটাই জানালেন বাংলাদেশ দলপতি। মাহমুদউল্লাহর মতে প্রথম ইনিংসে আরেকটু ভাল ব্যাটিং করলে ম্যাচে সুযোগটা পাওয়া যেত আরও বেশি, ‘এমন হার অবশ্যই হতাশার। এই টেস্টের উইকেট নিয়ে আমাদের সবারই ধারণা ছিল। ঢাকা টেস্টে ফলাফল আসবে এমনটা আমরা জানতাম। প্রথম ইনিংসটা আমাদের আরও ভাল করা উচিত ছিল। প্রথম ইনিংসে স্কোরটা যদি ২০০ রান বা ওদের কাছাকাছি থাকতো তবে ভাল সুযোগ পাওয়া যেত। এরকম উইকেটে ৩৪০ রান লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে অনেক বেশিই।’
উইকেটটা যেখানে মরণফাঁদ সেখানে কি আরেকটু সতর্ক থাকা উচিত ছিল না ব্যাটসম্যানদের? এমন প্রশ্নের উত্তরে অবশ্য মাহমুদউল্লাহ একমত হলেন না। বরং আক্রমণাত্মক থেকেই মনযোগের সাথে প্রতিপক্ষকে মোকাবিলা করার কৌশলকেই প্রাধান্য দিয়েছেন টেস্টে বাংলাদেশের দশম অধিনায়ক, ‘এমন উইকেটে যদি আপনি রক্ষণাত্মক ক্রিকেট খেলেন তাহলে আপনাকেই পিছিয়ে থাকতে হবে। অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি এমন উইকেটে বেশিক্ষণ আপনি ধরে ধরে খেলতে পারবেন না। একটা সময় বোলার আপনাকে পরাজিত করবেই। ফলে চালিয়ে খেলার বিকল্প নেই। কিন্তু আক্রমণাত্মক মানসিকতার পাশাপাশি বলগুলোও দেখে খেলতে হবে আপনাকে।’