গোলাপি জার্সির অপ্রতিরোধ্য দক্ষিণ আফ্রিকা

দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য গোলাপি রঙের ওয়ানডে পোশাকটা ভীষণ পয়মন্তই বলা যায়। ইতিহাস তেমনটাই বলে। এর আগে যতবার এই রঙের পোশাকে মাঠে নেমেছে প্রোটিয়ারা, ততবারই জয় পেয়েছে। এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে মোট ছয়বার গোলাপি জার্সিতে মাঠে নেমে ছয়বারই জয় পেয়েছে তারা। সর্বশেষ হারিয়েছে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ভারতকে।
গতকাল ভারতের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচটা একটু ব্যতিক্রমই ছিল। কারণ, ছয় ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ভারতের কাছে প্রথম তিন ম্যাচ হেরে ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল ইনজুরি জর্জরিত দক্ষিণ আফ্রিকা। কাল যদিও আফ্রিকা শিবিরে গোলাপি আভা ছিল, কিন্তু ভারতের সাম্প্রতিক ফর্মের কারণে শঙ্কাও ছিল। গত তিন ম্যাচের পুনরাবৃত্তি হবে, নাকি ইতিহাসের! অবশেষে ৫ উইকেটে জিতে ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
২০১৩ সাল থেকে এই গোলাপি রঙের জার্সিতে ওয়ানডে খেলা শুরু করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে এই জার্সি গায়ে তারা হারিয়েছে পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, ইংল্যান্ডকে। আর গতকালের জয়টির পর গোলাপি জার্সি গায়ে ভারতের বিপক্ষে প্রোটিয়ারা জয় পেল দুবার।
ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে ভারত। শুরুতেই রোহিত শর্মার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে তারা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শিখর ধাওয়ান ও বিরাট কোহলির টানা দ্বিতীয় শতরানের জুটিতে বিপর্যয় সামাল দেয় ভারত। কোহলি সেঞ্চুরি না পেলেও ধাওয়ান তাঁর ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরি তুলে নেন। ৭ উইকেটে ২৮৯ রান করে বিরাট কোহলির দল। দলটির ইনিংসের ৩৫তম ওভারে বৃষ্টির জন্য বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকলেও সে সময়ে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমেনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ৭.২ ওভারে বৃষ্টি নামলে আবার খেলা বন্ধ হয়ে যায়। খেলা শুরু হলে দক্ষিণ আফ্রিকা পায় ২৮ ওভারে ২০২ রানের লক্ষ্য। সাবধানী ব্যাটিংয়ে ইনিংস শুরু করলেও ৭৭ রানের মধ্যে তিনজন ব্যাটসম্যান ফিরে যান। মিলার-ক্লাসেনের ৭২ রানের পঞ্চম জুটি দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ে বেশ ভূমিকা রাখে। ফলে ১৫ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ জিতে সিরিজ বাঁচিয়ে রেখেছে প্রোটিয়ারা। আগামী মঙ্গলবার পোর্ট এলজাবিথের সেন্ট জর্জেস পার্কে হবে শুরু হবে পঞ্চম ওয়ানডে।