টেলরের শতকে সিরিজে ফিরল জিম্বাবুয়ে
টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিম্বাবুয়ে পাত্তাই পায়নি আফগানিস্তানের বিপক্ষে। তারা হেরেছিল সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেও। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানদের বড় ব্যবধানে হারিয়েই পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে সমতা এনেছে জিম্বাবুয়ে।
শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমার বেছে নেন ব্যাটিং। ব্র্যান্ডন টেলরের দারুণ শতকে ভর করে তারা নিজেদের স্কোরকার্ডে জমা করে ৩৩৩ রানের বড় পুঁজি। বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আফগানরা ১৭৯ রানেই ইনিংস গুটিয়ে নেয়। তাই ১৫৪ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জিম্বাবুয়ে।
ম্যাচে অবশ্য জিম্বাবুয়ের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। দলীয় স্কোরবোর্ডে ১০ রান তুলতেই ফিরে যান উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সলোমন মায়ার। চাপে থাকা জিম্বাবুয়ে দলের দায়িত্বটা তখন চাপে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান হ্যামিলটন মাসাকাদজা এবং টেলরের ওপর। ৮৫ রানের জুটি গড়ে চাপ সামলে দলকে এ দুজন এনে দেন শক্ত ভিত। ৪৮ রান করে মাসাকাদজা ফিরে যাওয়ার একটু পরেই সাজঘরের পথে হাঁটেন ক্রেইগ অরভিনও।
উইকেটরক্ষক টেলর এরপর দলের হাল ধরেন। এ সময় তিনি পাশে পান তরুণ সিকান্দার রাজাকে। জিম্বাবুয়ের বড় সংগ্রহের ভিত মূলত এ দুজনেই গড়ে দেন। তাঁরা ১৩৫ রানের জুটি গড়েন। দুই বছর পর দলে ফিরে টেলর দেখা পান ক্যারিয়ারের নবম ওয়ানডে শতকের। রাশিদ খানের বলে আউট হওয়ার আগে সাবেক এই দলনায়ক করেছেন ১২৫ রান। তাঁর ইনিংসে চারের চেয়ে অবশ্য ছক্কাই বেশি, পাঁচটি চারের বিপরীতে ছক্কা আটটি।
শেষ ত্রিদেশীয় সিরিজেও শতক বঞ্চিত হয়েছিলেন সিকান্দার রাজা। শারজাহতেও ভাগ্যের শিকে ছিঁড়ল না এই অলরাউন্ডারের। ৭৪ বলে নয়টি চার ও চারটি ছক্কায় ৯২ রানে চমৎকার ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন তিনি। রাশিদ খান ১০ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন দুই উইকেট।
জবাবে আফগানরা দলীয় ৩৬ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে। দশম উইকেটে রহমত শাহ ও দৌলত জাদরানের ৬৪ রানে জুটি হারের ব্যবধান কিছুটা কমিয়েছে ঠিক, কিন্তু হার এড়াতে পারেনি। আগের ম্যাচে শতক হাঁকানো রহমত শাহ এ ম্যাচে করেন ৪৩ রান। সর্বোচ্চ ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন দৌলত।
জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেমার শিকার করেন চার উইকেট। চাতারা পান তিন উইকেট। অনবদ্য শতকে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন ব্র্যান্ডন টেলর। মঙ্গলবার সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডের লড়াইয়ে মাঠে নামবে দুদল।