রিয়াল-পিএসজি লড়াই ছাপিয়ে রোনালদো-নেইমার দ্বৈরথ
ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখের কথা মাথায় এলেই ভেসে ওঠে তীর নিয়ে কিউপিডের ওড়াউড়ির ছবি। ভালোবাসা দিবস বলে কথা যে! তবে এই বছরের ১৪ই ফেব্রুয়ারি মানে আজকের দিনটা ফুটবলানুরাগীদের কাছে বিশেষত্ব পাচ্ছে অন্য একটা কারণে। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে রাত পৌনে ২টায় মাঠে নামছে রিয়াল মাদ্রিদ ও প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। দুই দলের লড়াই ছাপিয়ে পাদপ্রদীপের আলোটা অবশ্য থাকছে ক্লাব দুটোর শীর্ষ দুই তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও নেইমার ডি সিলভার ওপরেই।
মেসি-রোনালদোর পর বিশ্ব ফুটবলের লাগামটা যাচ্ছে কার হাতে? এমন প্রশ্নের জবাবে উত্তর একটাই। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার। মেসির মুখোমুখি এখনো হতে না হলেও ক্লাব বদলানোর প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ আসরেই নেইমার প্রতিপক্ষ শিবিরে পাচ্ছেন রোনালদোকে।
চলতি বছরটা রোনালদোর জন্য খুব একটা পয়মন্ত না হলেও পিএসজির হয়ে নেইমার রয়েছেন ফর্মের তুঙ্গে। যদিও লা লিগায় শেষ ম্যাচে দারুণ এক হ্যাটট্রিকে রোনালদোও জানান দিয়েছেন, স্যান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে পিএসজির বিপক্ষে নামতে তিনি প্রস্তুত।
ফরাসি ক্লাবের হয়ে চলতি মৌসুমে নেইমার ২৭ ম্যাচে করেছেন ২৮ গোল। অর্থাৎ প্রতি ম্যাচে করেছেন একটি করে গোল। অন্যদিকে মৌসুমের শুরুতে অনুজ্জ্বল হলেও শেষ চার ম্যাচে সাত গোল করে পর্তুগিজ অধিনায়ক ২৮ ম্যাচে নিজের গোলসংখ্যাকে নিয়ে গিয়েছেন ২৩টিতে।
এই পরিসংখ্যানে অবশ্য ব্রাজিল ফরোয়ার্ডের খুশি হলে চলছে না। লড়াইটা যখন চ্যাম্পিয়নস লিগের, তখন রোনালদো সেখানে এগিয়ে বেশ ভালোভাবেই। মাদ্রিদ তারকা গোল পেয়েছেন গ্রুপ পর্বের ছয় ম্যাচেই, মোট করেছেন ৯ গোল। অন্যদিকে নেইমারের গোলসংখ্যা ৬।
নেইমার স্বস্তি খুঁজতে পারেন একটা জায়গায়। সতীর্থদের দিয়ে গোল করানোয় রোনালদোর চেয়ে তিন গুণ এগিয়ে আছেন নেইমার। মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড যেখানে অ্যাসিস্ট করেছেন পাঁচটি, সেখানে পিএসজি তারকা গোল করিয়েছেন ১৪টি।
মেসির ছায়া থেকে বেরিয়ে নিজের সাম্রাজ্যটা গোছানোর জন্যই রেকর্ড পারিশ্রমিকে পিএসজিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন নেইমার। ফ্রেঞ্চ ভুবনে রাজ্যটা সাজিয়েও নিয়েছেন একদম নিজের মতো। এবার পালা রোনালদোকে ছাপিয়ে নিজের দলকে কোয়ার্টার ফাইনালে নিয়ে যাওয়ার। পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী রোনালদো অবশ্য ছাড় দেবেন না এতটুকুও। ফলে দুই সেরার লড়াইয়ে ভালোবাসা দিবসের রাতে ফুটবলীয় রোমান্টিকতায় বুঁদ হবেন অজস্র ফুটবলপ্রেমী, এমনটা বলার অপেক্ষা রাখে না।