রোনালদোর জোড়া গোলে পিএসজিকে হারিয়েছে রিয়াল
রিয়াল মাদ্রিদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো নয়। তা ছাড়া লা লিগায়ও শিরোপার রেসে অনেকটাই পিছিয়ে, পয়েন্ট তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছে তারা। সে দলটিই কি না চ্যাম্পিয়নস লিগে হয়ে উঠেছে দুর্বার। তাও আবার আসরের অন্যতম ফেভারিট দল পিএসজিকে একেবারে সহজেই হারিয়ে দিয়েছে তারা, ৩-১ গোলে। যাতে দলটির সবচেয়ে বড় তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো করেন জোড়া গোল।
বার্নাব্যু স্টেডিয়ামে পুরো আধিপত্য বিস্তার করেই খেলেছে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে তারা। অবশ্য রিয়ালকে হতাশ করে ৩৩ মিনিটে এগিয়ে যায় পিএসজি। ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পের ক্রস, কাভানির ডামি বল পেয়ে যান নেইমার। কিন্তু এই ব্রাজিলীয় তারকা গোল করতে ব্যর্থ হলেও পেছনে থাকা তাঁর সতীর্থ আদ্রিয়ান রাবিয়োত চমৎকার শটে বল জলে জড়াতে একটুও ভুল করেননি।
পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করে পিএসজি। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমারের চমৎকার পাসে বল পেয়ে কাভানি পারেননি বলটি জালে পাঠাতে। তাঁকে রুখে দেন প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার কাসেমিরো।
এর কিছুক্ষণ পরই বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। প্রথমার্ধের শেষ বাঁশি বাজার কিছুক্ষণ আগেই পেনাল্টি পেয়ে যায় রিয়াল। আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার জিওভানি লো সেলসো ডি-বক্সে জার্মান মিডফিল্ডার ক্রুসকে কাঁধ ধরে ঠেকানোর চেষ্টা করলে পেনাল্টি পেয়ে যায় ১২ বারের চ্যাম্পিয়নস লিগজয়ীরা। পেনাল্টি থেকে রোনালদো গোল করে দলকে খেলার সমতায় ফেরান।
এই গোল করে পর্তুগিজ তারকা দারুণ একটি কীর্তি গড়লেন। চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের হয়ে পেলেন নিজের শততম গোল।
ম্যাচের ৮৩ মিনিটে রিয়ালকে আবার এগিয়ে দেন রোনালদো। দলের এবং ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোলটি করেন বদলি খেলোয়াড় মার্কো আসেনসিওর ক্রসে বল পেয়ে।
অল্প কিছুক্ষণ পর রিয়ালের গোল ব্যবধান আরো বড় করেন ব্রাজিলীয় ডিফেন্ডার মার্সেলো। ৮৬ মিনিটে আসেনসিওর ক্রসে বল পেয়ে চমৎকার শটে লক্ষ্য ভেদ করেন তিনি।
এদিন দলের জয়ে জোড়া গোল করে রোনালদো এবারের আসরে মোট ১১টি গোল করেন। ইউরোপের সেরার ক্লাবগুলোর এই প্রতিযোগিতায় টানা সাত ম্যাচ গোল করে সবার ওপরে রয়েছেন তিনি।
শেষ ষোলোর লড়াইয়ে দিনের অন্য ম্যাচে বিশাল ব্যবধানে জিতেছে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুল। তারা ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পর্তুগিজ ক্লাব পোর্তোকে। দলের এই বিশাল জয়ে হ্যাটট্রিক করেন সাদিও মান। বলা যায়, এই জয়ে অলরেডদের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে।