মাশরাফির শেষ ম্যাচ হোক বাংলাদেশের প্রেরণা
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল থেকে ঢাকা টেস্ট, শ্রীলঙ্কার কাছে একরকম ধরাশায়ী হয়েছে বাংলাদেশ। এবার অপেক্ষা টি-টোয়েন্টির লড়াইয়ের। অপেক্ষাটা বাংলাদেশের ফিরে আসারও। নিজেদের জং-ধরা আত্মবিশ্বাসটা ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ দল চোখ রাখতে পারে শেরেবাংলার মাঠে কিংবা শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে।
টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত দুই দলের সাতবারের লড়াইয়ে বাংলাদেশ জিতেছে দুই ম্যাচ। বাকি পাঁচ ম্যাচেই জিতেছে শ্রীলংকা।
২০১৪ সালে চট্টগ্রামে জয়ের একেবারে কাছাকাছি গিয়েও পারেনি বাংলাদেশ। আম্পায়ারের ভুলে প্রথম ম্যাচে হারতে হয়েছিল ২ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচে থিসারা পেরেরা আর কুমার সাঙ্গাকারা জিততে দেননি বাংলাদেশকে।
২০১৬ সালে শেরেবাংলায় এশিয়া কাপে সাব্বির রহমানের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো লঙ্কানদের পরাজিত করে ২০ ওভারের ক্রিকেটে। এরপর তাদেরই ঘরের মাঠে সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতে সমতায় সিরিজ শেষ করেছিল মাশরাফির দল। সে ম্যাচটি ছিল মাশরাফি বিন মুর্তজারও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
এবার ঘরের মাঠে বাংলাদেশ দলের টি-টোয়েন্টি মিশন শুরু হওয়ার আগে প্রেমাদাসার সে ম্যাচটিই হতে পারে প্রেরণা। দুই দলের মধ্যকার শেষ টি-টোয়েন্টিও ছিল কলম্বোর সিরিজের শেষ ম্যাচটা। সে হিসেবে বলা যায়, এগিয়ে থেকেই বাংলাদেশ শুরু করবে সিরিজ।
অবশ্য টেস্ট ও ওয়ানডেতে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দলের কাছে বাংলাদেশ একরকম পর্যদুস্ত হয়েছে। রঙিন পোশাকের ছোট ফরম্যাটে এমনিতেই বরাবরই পিছিয়ে বাংলাদেশ। ত্রিদেশীয় সিরিজ ও টেস্ট সিরিজ জিতে ফুরফুরে মেজাজে লঙ্কানরা।
আজ বৃহস্পতিবার সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ কি পারবে সফরকারী শ্রীলঙ্কাকে রুখে দিতে। ঘরের মাঠে ম্যাচ বলে আশাবাদী হতেই পারেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা :
মোট ম্যাচ : ৭
বাংলাদেশের জয় : ২
শ্রীলঙ্কার জয় : ৫