মিরপুরও পেল ডিমেরিট পয়েন্ট

এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজের দুই ম্যাচের জন্য দুটি স্টেডিয়ামের খাতায়ই ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হলো। প্রথম টেস্টে অতিরিক্ত ব্যাটিংনির্ভর উইকেট করার জন্য চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছে। পাঁচ দিনের চট্টগ্রাম টেস্টে ‘গড়পড়তা মানের নিচে’ থাকা উইকেটে উঠেছে ১,৫৩৩ রান।
চট্টগ্রামের মতো দ্বিতীয় টেস্টে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামও অতিরিক্ত বোলিং পিচের জন্য একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছে।
বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্টের ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন তাঁর প্রতিবেদনে লিখেছেন, ‘প্রথম দিন থেকেই উইকেটের উপরিভাগে ক্ষত সৃষ্টি হতে দেখা গেছে, যেটির কারণে ম্যাচজুড়ে বাউন্স সমান ছিল না। পাশাপাশি টার্নিংও ধারাবাহিক ছিল না, কখনো কখনো যেটা ছিল মাত্রাতিরিক্ত রকমের। পিচ থেকে বোলাররা খুব বেশি সহায়তা পেয়েছে; ব্যাটসম্যানদের তাদের দক্ষতা দেখানোর যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয়নি।’
তবে চট্টগ্রামের চেয়ে মিরপুরকে নিয়ে একটু বেশিই শঙ্কা। চট্টগ্রাম এই প্রথমবারের মতো ডিমেরিট পয়েন্ট পেলেও এর আগেও মিরপুরের ভাগ্যে জুটেছিল আরো দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট। গত বছর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে বাজে আউটফিল্ডের জন্য আরো দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ হয় মিরপুরের খাতায়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচসহ এখন মিরপুরের সর্বমোট তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট। পাঁচ বছরের মধ্যে পাঁচটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে এক বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন থেকে নিষিদ্ধ হবে শেরেবাংলা স্টেডিয়াম।