সিলেটে অন্যরকম অভিষেক বাংলাদেশের
চা বাগান আর পাহাড়ের কোল ঘেঁষে অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সিলেটে গড়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম। যার নাম সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। অবশ্য এই স্টেডিয়ামটি নির্মাণ হয়েছিল ২০০৭ সালে। এর আগে তা সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম নামে পরিচিত ছিল। ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও আইসিসি প্রমিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের লক্ষ্যে স্টেডিয়ামটি সম্প্রসারণ করা হয়।
ইংল্যান্ড লায়নস, ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ ও নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দল এই স্টেডিয়ামে খেলেছে। অবশ্য ১৮ হাজার ৫০০ দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এই স্টেডিয়াম এখনো টেস্ট খেলার উপযুক্ত হয়নি। একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজিত না হলেও এই স্টেডিয়ামে এর আগে ছটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৪ সালের ১৭ মার্চ আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ে ম্যাচের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে এই নয়নাভিরাম স্টেডিয়ামের।
গত বছর বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচসহ আটটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হলেও এর আগে বাংলাদেশ জাতীয় দল এ মাঠে কোনো ম্যাচ খেলেনি। সেই আক্ষেপও এবার ঘুচেছে। আজ রোববার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি এই মাঠে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। জাতীয় দলের প্রথম অভিষিক্ত এই ম্যাচকে ঘিরে সিলেটের মানুষের মধ্যে দেখা যাচ্ছে বেশ উদ্দীপনা। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে স্বল্প পরিসরের এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্যালারি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেলে অভিষিক্ত ক্রিকেট মাঠে জয়ের সাক্ষী হয়েও থাকবে।
বাংলাদেশে আটটি আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়াম আছে। এগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম, মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম , এমএ আজিজ স্টেডিয়াম, খুলনা শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম, বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম, ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম এবং সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম।