ক্যাচ মিসের মাসুল গুনল বাংলাদেশ

ব্যাট হাতে নেমেই বাংলাদেশ বোলারদের ওপর টর্নেডো বইয়ে দিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কান দুই ওপেনার কুশল মেন্ডিস এবং দানুশকা গুনাথিলকা। উদ্বোধনী জুটিতে এই দুজন এনে দিয়েছেন শতক ছুঁই ছুঁই জুটি। বলা যায় ক্যাচ মিস এবং বাজে বোলিংয়েই শ্রীলঙ্কাকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দিয়েছিল। সে ধারাবাহিকতায় শ্রীলঙ্কা গড়েছে বিশাল সংগ্রহ। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে তারা ২১০ রান করেছে।
বাংলাদেশের ফিল্ডারদের ব্যর্থতায় শ্রীলঙ্কা এই বিশাল সংগ্রহ গড়ে। এক গুনাথিলকারই ক্যাচ মিস হয়েছে দুবার। নাজমুল ইসলাম অপুর বলে মিড অফে দারুণ এক ক্যাচ নেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন তামিম। বাংলাদেশ ওপেনারের হাতেও এসেছিল বল। কিন্তু বল জমিয়ে রাখতে পারেননি। ১৬ রানে প্রথম জীবন পেয়েছেন গুনাথিলাকা।
অবশ্য তামিমের ক্যাচটি কঠিন হিসেবে মেনে নেওয়া যায়। কিন্তু অষ্টম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে হতাশ করে মাহমুদউল্লাহ ফের জীবন উপহার দিলেন গুনাথিলকাকে। কভারে এত সহজ ক্যাচ খুব কমই আসে! দুবার জীবন পাওয়া সেই গুনাথিলকা অর্ধশতকের দেখা না পেলেও ফিরেছেন ৪২ রান করে।
সিলেটে নিজেদের অভিষেক ম্যাচে বাংলাদেশি বোলাররা যেন শুরু করল শেরেবাংলায় যেখানে শেষ হয়েছিল, ঠিক সেখান থেকেই। শুরুটা অভিষিক্ত আবু জায়েদ রাহীর করা প্রথম ওভার থেকেই। অবশ্য প্রথম ম্যাচের চাপ থেকেই শুরুর ওভারেই ১২ দিয়েছেন ঘরের ছেলে রাহী- এমন ব্যাখ্যা দাঁড় করালেও যেতে পারে।
সাইফউদ্দিন ছাড়িয়ে যেতে পারেননি নিজেকে। এই ম্যাচেও দিয়েছেন ওভারপ্রতি ১০ রানের বেশি। অভিষিক্ত মেহেদী হাসান দুই ওভারে দিয়েছেন ২৫ রান। এক উইকেট নিলেও সৌম্য সরকারও ছিলেন খরুচে।
মুস্তাফিজও কম খরুচে ছিলেন না, চার ওভারে গুনেছেন ৩৯ রান, অবশ্য ঝুলিতে উইকেট পুরেছেন একটি। রান বন্যার দ্বিতীয় ম্যাচেও সবার থেকে ব্যতিক্রম নাজমুল ইসলাম অপু। চার ওভারে দিয়েছেন ২৮ রান।