শুক্কুরের ব্যাটে মোহামেডানের বড় জয়
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) বড় জয়ের দেখা পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। চতুর্থ রাউন্ডের খেলায় অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে তারা পরাজিত করেছে ১৫৯ রানের বড় ব্যবধানে। মোহামেডানের বড় জয়ের দিন জিতেছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি আর শাইনপুকুরও।
মিরপুর শেরেবাংলায় টসে হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে মোহামেডান। অগ্রণী ব্যাংক বোলাররা বেশ চাপেই রাখতে সমর্থ হয়েছিল মোহামেডান ব্যাটসম্যানদের। কিন্তু পঞ্চম উইকেট জুটিতে রকিবুল হাসান আর ইরফান শুক্কুরের ১১২ রানের জুটিই মোহামেডানকে গড়ে দেয় বড় স্কোরের ভিত।
রকিবুল ফিরেছেন ৭৭ রান করে। শুক্কুর অবশ্য দারুণ ব্যাটিংয়ের পরও পুড়েছেন শতক না পাওয়ার আক্ষেপে। শতরান থেকে ৮ রান দূরে থেকেই ফিরেছেন ৯২ রান করে। ৮৩ বলে আট চার আর দুটি ছয়ে এই উইকেরক্ষক ব্যাটসম্যান সাজিয়েছিলেন নিজের ইনিংস। সব মিলিয়ে ৫০ ওভার শেষে মোহামেডানের স্কোরকার্ডে দাঁড়ায় সাত উইকেটে ৩৩৫ রানের বড় পুঁজি।
জবাবে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে অগ্রণী ব্যাংক ছিটকে যায় ম্যাচ থেকে। ধিমান ঘোষের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৪০ রান। শুভাশীষ রায়, কাজী অনিক আর এনামুল হক (২) তিনজনই নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। ম্যাচসেরার পুরস্কার যায় ইরফান শুক্কুরের হাতে।
দিনের আরেক ম্যাচে ফতুল্লায় শেখ জামাল ধানমণ্ডির কাছে পাঁচ উইকেটে হেরেছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস জিতে শেখ জামালের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রাইম ব্যাংক গুটিয়ে যায় ২২৭ রানেই। দলের পক্ষে মেহেদী মারুফের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৪১ রান। শেখ জামালের হয়ে তিন উইকেট তুলে নেন রবিউল হক।
জবাবে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জিয়াউর রহমানের অর্ধশতকে সহজ জয় পায় শেখ জামাল। জিয়ার ৬৭ রানের পাশাপাশি সৈকত আলী আর রাঙ্গির ব্যাট থেকেও আসে ৩৯ রান করে। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান অপরাজিত থাকেন ২৮ রানে। পাঁচ উইকেটে জেতা ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন জিয়াউর রহমান।
অন্যদিকে সাভারে উদয় কৌলের শতকে খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতিকে ৮৮ রানে পরাজিত করেছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে প্রথমে ব্যাট করা শাইনপুকুর নিজেদের ৫০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ২৯৪ রান। ১৩৬ বলে ১২ চার আর ৩ ছয়ে উদয় গড়েছেন ১৩৭ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। সাথে আফিফ হোসেনের ৪৩ রান নবাগত দলটিকে এনে দেয় বড় সংগ্রহ।
জবাবে রাফসান আল মাহমুদ অর্ধশতক হাঁকালেও তার দলকে গুটিয়ে যেতে হয়েছে ২০৬ রানেই। রাফসানের ৬২ রানের সঙ্গে অমিত মজুমদারও করেন ৪৩ রান। ৮৮ রানে জয় পাওয়া শাইনপুকুরের উদয়কে বেছে নেওয়া হয় ম্যাচসেরা হিসেবে।