শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে হাথুরুর কৌশলী-ভাবনা
হুট করেই বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। এরপরই শ্রীলঙ্কা দলের দায়িত্ব নিয়েই আসেন বাংলাদেশ সফরে। প্রথম দায়িত্বেই দারুণ কিছু সাফল্য পেলেন। ত্রিদেশীয় সিরিজে চ্যাম্পিয়ন, বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে তাঁর দল। অবশ্য এখানেই থেমে থাকতে চান না সদ্য দায়িত্ব পাওয়া এই লঙ্কান কোচ। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জাতীয় দলে পুল বাড়ানোর কথা চিন্তা করছেন তিনি।
বাংলাদেশ থেকে সাফল্য নিয়ে দেশে ফিরেই হাথুরুসিংহে বলেন, ‘আমরা স্কোয়াডে আরো বেশি খেলোয়াড় রাখতে চাই, যারা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে লড়াই করতে পারবে। প্রতিপক্ষের শক্তি-সামর্থ্য বিবেচনা করেই খেলোয়াড় বাছাই করা হবে।’
এক দল নিয়েই পড়ে থাকতে চান না হাথুরুসিংহে। যারা পারফর্ম করবে, তাদের নিয়েই সেরা কম্বিনেশন সাজাতে চান তিনি। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘সব ক্রিকেটারই সমানভাবে সুযোগ পাবে। যারা পারফর্ম করবে, দলে তাদেরই জায়গা থাকবে। তবে সব সময়ই চেষ্টা থাকবে সেরাটা দিয়ে যাতে জিততে পারি।’
জীবন মেন্ডিস হাথুরুর প্রাথমিক পরিকল্পনার অংশ বলেই জানান তিনি। বাংলাদেশ সফরে এসে তিন বছর পর জাতীয় দলে ফিরে নিজের প্রথম ওভারেই দুই উইকেট তুলে নেন এই বোলার। হাথুরু বলেন, ‘আমরা তাঁর (মেন্ডিস) প্রতিভা সম্পর্কে জানি। ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁর রেকর্ড দেখে তাঁর মতো একজনকে খুঁজছিলাম। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রতিপক্ষের ওপর। পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে আমরা আসলে কী চাই।’
থিসারা পেরেরা হাথুরুর কৌশশগত দিকনির্দেশনার ফল। দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলে ফিরে পেরেরাকে হাথুরু মাঠে তাঁর সামর্থ্য সম্পর্কে বেশ ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন। এমনকি অনুশীলনের সময় পেরেরার খেলার ধরনেও খানিকটা পরিবর্তনও আনেন তিনি।
শ্রীলঙ্কা পরের সিরিজ খেলবে ঘরের মাটিতে। ভারত ও বাংলাদেশের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে আগামী মার্চে মুখোমুখি হবে তারা। তারই প্রস্তুতি হিসেবে দলকে নতুনভাবে সাজাতে চাইছেন তিনি।