অবশেষে চেলসির জালে মেসির গোল
সময়ের হিসেবটা করলে ৬৫৫ মিনিট। শট গুনলে সংখ্যা দাঁড়াবে ২৯। সব মিলিয়ে ৮ ম্যাচে লিওনেল মেসি মাঠে নেমেছেন চেলসির বিপক্ষে। কিন্তু গোলখরা কাটছিলনা। অবশেষে চেলসিরই মাঠে পিছিয়ে পড়েও মেসির গোলে ড্র করতে সমর্থ হয় বার্সেলোনা। ১-১ ব্যবধানের ড্র নিয়ে শেষ হয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলো পর্বের প্রথম লেগের ম্যাচটি।
উইলিয়ানের গোলে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে প্রথমার্ধের লড়াইটায় এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। ইনিয়েস্তার পাস থেকে প্রথমবারের মতো চেলসির জালে বল পাঠিয়ে বার্সেলোনাকে ড্র’র সাথে গুরুত্বপূর্ণ একটি অ্যাওয়ে গোলও এনে দিয়েছেন মেসি।
বার্সেলোনার ওপর চড়াও হয়েই ম্যাচের শুরুটা করে স্বাগতিক চেলসি। ৯ মিনিটের মাথায় উইলিয়ানের কর্ণার থেকে মাথা ছোঁয়ালেও ঠিক লক্ষ্যভেদটা করতে পারেনি রুডিজার।
১৫ মিনিটে মেসির এগিয়ে দেওয়া বলে গোল করার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করেছেন পলিনহোও। একটু পর অবশ্য আর্জেন্টাইন অধিনায়ক নিজেও দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে এগিয়ে নিতে পারেননি দলকে।
শুধু বার্সা গোলরক্ষক স্টেগান নয়, উইলিয়ানের প্রতিপক্ষ এদিন যেন ছিল বার্সার গোলপোস্টটাও। ৩৩ মিনিটে দারুণ এক দূরপাল্লার শট আটকে যায় বারে লেগে। এর মিনিট আটেক পরে আবারও গোলবারের বাঁধায় ব্রাজিলিয়ানের ভাগ্যে জোটেনি গোল। মাঝে ইডেন হ্যাজার্ডও ভীতি ছড়িয়েছেন বার্সার রক্ষণভাগে।
প্রথমার্ধটা কেটেছিল গোলশূণ্য অবস্থাতেই। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আর গোলপোস্ট ভাগ্য কাজে লাগেনি বার্সার। ম্যাচের ৬২তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজকে আনন্দে ভাসান উইলিয়ান।
এক গোলে পিছিয়ে গিয়ে ম্যাচে সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন বার্সা তারকারা। একের পর এক আক্রমণ থমকে যেতে থাকে চেলসির ডি-বক্সে এসে। পুরো ম্যাচে লিওনেল মেসিকে এক কথায় বোতল বন্দিই করে রেখেছিল স্বাগতিক ডিফেন্ডাররা। ম্যাচের বয়েস তখন ৭৫ মিনিট, চেলসির জালে বল ঢোকানোর স্বাদটা প্রথমবারের মত পেয়ে যান এই ফরোয়ার্ড। ইনিয়েস্তার পাস থেকে বল পেয়ে সেটা পোস্টের বাঁদিকে নিচু শটে স্বাগতিকদের জালে জড়িয়ে দেন পাঁচবারের বর্ষসেরা মেসি। চলতি চ্যাম্পিয়নস লিগের আসরে এটি এই আর্জেন্টাইনের চতুর্থ গোল, আর সব মিলিয়ে ৯৮তম।
বাকি সময়টায় গোলশূন্যই থাকতে হয়েছে দুই দলকে। যার ফলে নির্ধারিত সময় শেষে ১-১ সমতাতেই শেষ হয় চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম লেগের লড়াই।
এই ড্রয়ে ইউরোপ সেরার টুর্নামেন্টে টানা আট ম্যাচে চেলসির বিপক্ষে জয় বঞ্চিত থাকতে হলো স্প্যানিশ ক্লাবটিকে। ছয়বার করেছে ড্র আর বাকি দুই ম্যাচে বরণ করে নিতে হয়েছে পরাজয়। এবার দেখার পালা ন্যু-ক্যাম্পে দ্বিতীয় লেগের খেলায় জয়ের হাসিটা হাসতে পারে কিনা পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপাধারীরা। ১৪ই মার্চ দ্বিতীয় লেগের খেলা মাঠে গড়াবে বার্সেলোনার ঘরের মাঠে।