তাইজুল নৈপুণ্যে মোহামেডানের জয়
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) আজকের লড়াইয়ে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল নবাগত শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের তারকা আফিফ হোসেনের অপরাজিত ইনিংস জিতিয়েছে ক্লাবটিকে। দিনের অন্য দুই ম্যাচ জয় পেয়েছে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি আর মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। সব মিলিয়ে আজকের ডিপিএলে দেখা মিলেছে মোট তিন সেঞ্চুরির।
শেরেবাংলায় কলাবাগান স্পোর্টিং ক্লাবকে ছয় উইকেটে পরাজিত করেছে শাইনপুকুর। কলাবাগানের ২৩৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা ডিপিএলে প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়া দলটি অতিক্রম করে ৭.৩ ওভার আর ছয় উইকেট হাতে রেখেই।
কোনো রান সংগ্রহ না করেই প্রথম উইকেট হারানো শাইনপুকুরের ব্যাটসম্যানরা এরপর মন দিয়েডিছলেন জুটি গড়ার দিকে। চতুর্থ উইকেটে আফিফ হোসেন আর তৌহিদ হৃদয় সংগ্রহ করেছেন ৮৪ রান। ৭১ বলে ৬৩ রান করে হৃদয় ফিরলেও আফিফ মাঠ ছাড়েন দলকে জিতিয়েই। ৭০ বলে ৬৭ রান করে অপরাজিত থাকেন এই অলরাউন্ডার।
এর আগে আকবর-উর-রহমান আর মাহমুদুল হাসানের অর্ধশতকে কলাবাগান ৫০ ওভারে নয় উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ২৩২ রান। আকবরের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৭১ রান, ৫২ রান করেন মাহমুদুল। শাইনপুকুরের হয়ে শুভাগত হোম নিয়েছেন তিন উইকেট। ম্যাচসেরাও ঘোষিত হন জাতীয় দলের হয়ে আট টেস্ট খেলা এই অলরাউন্ডার।
ফতুল্লায় দিনের আরেক ম্যাচে খেলাঘরের বিপক্ষে সাত উইকেটে হেরেছে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন আর অশোক মেনারিয়ার অপরাজিত জোড়া শতকে খেলাঘর সহজেই পেরিয়েছে ২৬০ রানের লক্ষ্যমাত্রা।
মাত্র ৪৫ রানেই খেলাঘর হারিয়েছিল তিন উইকেট। সেখান থেকে ভারতীয় মেনারিয়াকে সঙ্গে নিয়ে অঙ্কন গড়েছেন ২২১ রানের জুটি। ১৩১ বলে চারটি চার আর ছয়টি ছক্কায় ১১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন অঙ্কন। অন্যদিকে ভারতীয় মেনারিয়া ১১২ বলে নয়টি চার আর কিনটি ছয়ে খেলেছেন হার না মানা ১১৩ রানের ইনিংস। অনবদ্য শতকে টুর্নামেন্টে দ্বিতীয়বার ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন অঙ্কন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামা অগ্রণী ব্যাংক জাহিদ জাভেদের অর্ধশতকে ভর করে স্কোরকার্ডে তুলেছিল আট উইকেট হারিয়ে ২৫৯ রানের পুঁজি। জাহিদ সংগ্রহ করেছিলেন ৫২ রান।
ফতুল্লায় জোড়া শতকে খেলাঘর হাসলেও সাভারে শতক গড়েও পরাজয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন ব্যাটসম্যান আল আমিনের দল প্রাইম ব্যাংক। ম্যাচে তিন উইকেটের দারুণ এক জয়ে পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। রনি তালুকদারের ৬০ আর রকিবুল হাসানের ৬৪ রানের পরও মোহামেডানের পাল্লা দুলছিল পরাজয়ের দিকেই। তবে অষ্টম উইকেট জুটিতে অপরাজিত ৫৫ রান করে জয়টা মোহামেডানকেই এনে দেন দুই বোলার তাইজুল ইসলাম এবং এনামুল হক। দুজন অপরাজিত থাকেন যথাক্রমে ৩৫ এবং ৩২ রানে।
প্রথমে ব্যাট করা প্রাইম ব্যাংকের সংগ্রহ ছিল নয় উইকেটে ২৫৯ রান। ইউসুফ পাঠান ডাকে ডিপিএল পর্ব শুরু করলেও আল আমিন দেখা পেয়েছিলেন শতকের। মাত্র ৩৬ রানে ছয় উইকেট হারানো প্রাইম ব্যাংককে পথে ফেরান আল আমিন আর আরিফুল হক। ১৬১ রানের জুটি গড়েন এই দুজন। ১২৬ বলে ১১০ রানের ইনিংস খেলে ফিরেছেন আল আমিন। ৮৭ রান করে সাজঘরের ফেরেন আরিফুলও। ম্যাচসেরার পুরস্কারটা অবশ্য আল আমিনের হাতেই উঠেছে।