টি-টোয়েন্টি সিরিজও ভারতের
টেস্ট সিরিজে খুব একটা সাফল্য পায়নি তারা। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ওয়ানডে সিরিজে দারুণ সাফল্য পেয়েছিল ভারত। বিরাট কোহলির দল ৫-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল। সাফল্যের সে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে তারা টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। তিন ম্যাচের এই সিরিজে সফরকারী দলটি জিতেছে ২-১ ব্যবধানে।
আজ রোববার সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারত অনেকটা নাটকীয় জয় তুলে নিয়েছে। তারা মাত্র ৭ রানে হারিয়েছে স্বাগতিক প্রোটিয়াদের।
টসে হেরে প্রথমে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত সুরেশ রায়না ও শিখর ধাওয়ানের দারুণ ব্যাটিংয়ে ১৭২ রানের পুঁজি দাঁড় করায়। নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলির অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রোহিত শর্মা খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি, ব্যক্তিগত ১১ রানে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
পরে রায়না ২৭ বলে ৪৩ ও ধাওয়ান ৪০ বলে ৪৭ রানের দারুণ দুটি ইনিংস খেলে দলের ভালো সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন। পরে হার্দিক পান্ডিয়া ২১ রান করেন।
আফ্রিকার হয়ে জুনিয়র ডালা ৩৫ রানে তিনটি ও ক্রিস মরিস ৪৩ রানে দুই উইকেট নেন।
এই রান রান তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি। দ্রুত সাজঘরে ফিরেন রিজা হেনড্রিকস। ডেভিড মিলারও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি, ২৩ বলে ২৪ রান করেন।
অধিনায়ক জেপি ডুমিনি ৪১ বলে ৫৫ রান করে স্বাগতিকদের কিছুটা সময়ের জন্য জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। পরে ইয়ঙ্কার ৪৯ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলে দলকে জয়ের একেবারেই কাছাকাছি নিয়েও গিয়েছিলেন, ক্ন্তিু শেষ পর্যন্ত পানেননি। ১৬৫ রানে থেমে যায় তাদের ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত : ২০ ওভারে ১৭২/৭ (ধাওয়ান ৪৭, রায়না ৪৩, পান্ডিয়া ২১, ধোনি ১২, কার্তিক ১৩; ডালা ৩৫/৩, মরিস ৪৩/২, শামসি ৩১/১)।
দক্ষিণ আফ্রিকা : ২০ ওভারে ১৬৫/৬ (মিলার ২৪, ডুমিনি ৫৫, সেন ৭, ইয়ঙ্কার ৪৯, বেহারদিন ১৫*; ভুবনেশ্বর ২৪/২, পান্ডিয়া ২২/১, বুমরাহ ৩৯/১)।
ফল : ভারত ৭ রানে জয়ী।