শরীফের হ্যাটট্রিকের দিনে রূপগঞ্জের দারুণ জয়
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স তখন নিজেদের ইনিংসের শেষ ওভারটার মুখোমুখি। বোলার ছিলেন মোহাম্মদ শরীফ। ওভারের দ্বিতীয়, তৃতীয়, এবং চতুর্থ বলে পরপর তিন উইকেট তুলে নিয়ে শরীফ তুলে নিলেন নিজের হ্যাটট্রিকে। জাতীয় দলের সাবেক এই পেসারের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের দিনে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এদিন দারুণ জয় তুলে নিয়েছে তাঁর দল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। দিনের অন্য ম্যাচে ৫৬ রানে জিতেছে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব।
আগেরদিন রাতে বৃষ্টি হওয়ায় বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠটা খেলার উপযুক্ত করতে করতেই ম্যাচ শুরু হতে হয়েছে বিলম্ব। খেলার দৈর্ঘ্য কমিয়ে রূপগঞ্জ-গাজী ক্রিকেটার্স ম্যাচটা নিয়ে আসা হয়েছিল ৩৩ ওভারে। টস জিতে রূপগঞ্জ অধিনায়ক নাঈম ইসলাম বেছে নেন ফিল্ডিং। ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ সূচনা অবশ্য পায়নি বর্তমান শিরোপাধারীরা।
পঞ্চম উইকেটে নাদিফ চৌধুরী ও জাকের আলী অনিক ধরেছিলেন দলের হাল। তাদের ৬৪ রানের জুটিতে কার্টেল ওভারের ম্যাচে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের দিকে ছুটতে থাকে বর্তমান গাজী ক্রিকেটার্স। তবে ২৮ রানে শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়ে বড় কোনো লক্ষ্য ছুড়ে দিতে পারেনি দলটি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৫ রান সংগ্রহ করেন নাদিফ। এ ছাড়া জাকেরের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান।
দারুণ এক হ্যাটট্রিকে গাজী ক্রিকেটার্সকে একাই থামিয়ে দিয়েছেন শরীফ। সঙ্গে ৩৩ রান খরচায় শরীফ তুলে নিয়েছেন বিপক্ষ শিবিরের ছয় ব্যাটসম্যানের উইকেট। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে জেষ্ঠ্য এই পেসারের এটাই সেরা বোলিং সাফল্য।
জবাব দিতে নেমে রূপগঞ্জ শুরুতেই হারিয়ে ফেলে মোহাম্মদ নাঈমের উইকেট। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে দারুণ ফর্মে থাকা আব্দুল মজিদও ফিরেছেন দ্রুত। তবে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ম্যাচটা পাঁচ উইকেটের জয়েই শেষ করে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকা রূপগঞ্জ।
পারভেজ রসুল সর্বোচ্চ ৬১ করে অপরাজিত থাকেন। ৫৭ বলে পাঁচ চার ও দুই ছক্কায় এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। এ ছাড়া অধিনায়ক নাঈম ইসলাম সংগ্রহ করেছেন ৩৯ রান। আর অভিজ্ঞ তুষার ইমরানের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৮ রান। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন মোহাম্মদ শরীফ।
ফতুল্লায় দিনের আরেক ম্যাচে ফজলে মাহমুদ ও লিটন দাসের ব্যাটিং দৃঢ়তায় জয় পেয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর। শেখ জামাল ধানমণ্ডিকে ৫৬ রানে পরাজিত করে তারা। অবশ্য শতরান করেও পরাজয়ের আক্ষেপে পুড়েছেন শেখ জামাল অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
১০১ বলে পাঁচ চার ও ছটি ছক্কায় মাহমুদ অপরাজিত থাকেন ১২০ রানে। এ ছাড়া লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৬৯ রানের ইনিংস। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে দোলেশ্বরের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৩ রান।
জবাবে শেখ জামালের হয়ে লড়াইটা একাই করেছেন সোহান। ৮৮ বলে সাত চার ও একটি ছক্কায় দলনায়কের শতকে শুধু পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছে ধানমণ্ডির ক্লাবটি। দোলাশ্বরের হয়ে ফরহাদ রেজা শিকার করেন চার উইকেট।