যে কারণে অবসরে মরকেল
একমাস আগেও তিনি চেয়েছিলেন ক্রিকেট খেলাটা আরো কিছুদিন চালিয়ে যেতে। না, আর পারলেন না। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার মরনে মরকেল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর ঘোষণা দিয়েই ফেললেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজটাই হতে যাচ্ছে এই প্রোটিয়া এই পেসারের শেষ আন্তর্জাতিক সিরিজ।
ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে আতিথ্য দেওয়ার সিরিজের আগেই এক সংবাদ সম্মেলনে মরকেল শুনিয়েছেন নিজের বিদায়ের ঘোষণা। এমন অকস্মাৎ বিদায়ের পেছনে হিসেবে এই পেসারের কারণটা পারিবারিক। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মরকেল বলেছেন, ‘সিদ্ধান্তটি নেওয়া আমার জন্য খুবই কঠিন ছিল। তবে আমি মনে করেছি জীবনের নতুন শুরুটা করার এখনই সেরা সময়। আমার পারিবারিক জীবনটা আমি মাত্রই শুরু করেছি, স্ত্রীও ভিনদেশি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচির চাপে পরিবারকে সময় দিতে পারছিনা। সবার আগে আমার পরিবারের কথাই ভেবেছি। এই সিদ্ধান্ত শুধু আমাদের এগিয়ে নিতেই পারে।’
বিদায়ী সিরিজের আগে দলের সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেও ভোলেননি মরকেল। দীর্ঘদিনের সঙ্গীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে খেলা প্রতিটি মিনিট আমি উপভোগ করেছি। আমি আমার সতীর্থ, বোর্ড, পরিবার এবং বন্ধুদের প্রতি ভীষণ কৃতজ্ঞ। এখনো ক্রিকেটকে আমার দেওয়ার বাকি অনেক কিছুই। আমার আগামীর পথচলা নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত। তবে আমার দৃষ্টিটা এখন শুধুই আসন্ন সিরিজকে ঘিরে।।’
অবসরের হেতু হিসেবে মরকেল পরিবারের কথা বললেও আরও একটি কারণও উঠে আসছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সৌজন্যে। কাউন্টি ক্রিকেট দলে যোগ দিতে ইচ্ছুক মরকেল। এমনকি ইয়র্কশায়ার এবং সারে ভীষণভাবে দলে চাইছে এই প্রোটিয়া পেসারকে।
২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে মারকেলের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল। এখন পর্যন্ত মাঠে নেমেছেন ৮৩ টেস্টে। প্রোটিয়া টেস্ট ইতিহাসের পঞ্চম সর্বোচ্চ শিকার তাঁর, ২৯৪ উইকেট। শেষ সিরিজে তাই ৩০০ উইকেটের মাইলফলক ছুঁয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সুযোগ থাকছে মরকেলের।