মাইশুকুরে ম্লান শুভাগতের শতক
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে দুর্দান্ত শতক হাঁকিয়েছেন শুভাগত হোম। তবে এই অলরাউন্ডারের শতক ম্লান করে দিয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়নের মাইশুকুর রহমান দলকে এনে দিয়েছেন জয়। ডিপিএলের আজকের লড়াইয়ে জয়ের মুখ দেখেছে প্রাইম ব্যাংক ও খেলাঘর।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শাইনপুকুর। দ্রুত চার উইকেট হারিয়ে বিপর্যস্ত দলটিকে পথে ফেরান আফিফ হোসেন এবং শুভাগত। ১৪৩ রানের জুটি গড়ে আফিফ ফিরেছিলেন ৬৮ রানে। তবে শুভাগত তুলে নিয়েছেন লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের প্রথম শতক।
৯৮ বলে ১২টি চার আর চারটি ছক্কায় ডানহাতি এই অলরাউন্ডার করেছেন ১১৬ রান। মূলত শুভাগত-আফিফের ব্যাটে ভর করেই শাইনপুকুরের সংগ্রহ দাঁড়ায় আট উইকেট হারিয়ে ২৮৮ রান। সোহরাওয়ার্দী শুভ শিকার করেন তিন উইকেট।
জবাবে ইনিংসের শুরু থেকেই সমানতালে লড়তে থাকে ব্রাদার্স। নিজে শতকের আক্ষেপে পুড়লেও মাইশুকুর শুভাগতকে পুড়িয়েছেন শতক পেয়েও পরাজয়ের আফসোসে। সেঞ্চুরি থেকে ১২ রান দূরে থাকতে ফিরেছেন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। তাঁর ১০৭ বলে করা ৮৮ রানই ব্রাদার্সকে গড়ে দেয় জয়ের ভিত। এ ছাড়া ভারতীয় দেবব্রত দাসের ব্যাট থেকে আসে ৭৫ রান। পাঁচ বল হাতে রেখেই ব্রাদার্স পাঁচ উইকেটের জয় তুলে নেয় নবাগত ক্লাবটির বিপক্ষে। ম্যাচ সেরার পুরস্কার গিয়েছে মাইশুকুরের হাতেই।
এদিকে ফতুল্লায় প্রাইম ব্যাংকের কাছে ৪২ রানে হেরেছে অগ্রণী ব্যাংক। টসে হেরে ব্যাট করতে নামা প্রাইম ব্যাংক দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের অর্ধশতকে নিজেদের ইনিংসে ২৭২ রানের পুঁজি গড়ে। মেহেদী মারুফের সংগ্রহ ছিল ৫৪ রান আর মেহরাব হোসেন জুনিয়রের ব্যাট থেকে আসে ৫২ রান। এ ছাড়া ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন দেলোয়ার হোসেন। শফিউল ইসলাম ও রাজা আলি নেন দুটি করে উইকেট।
খান সাহেব ওসমান আলী মাঠে প্রাইম ব্যাংকের বোলাররা প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন ইনিংসের শুরু থেকেই। মাঝের ব্যাটসম্যানরা চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত অগ্রণী ব্যাংকে থামতে হয় ২৩০ রানেই। ধীমান ঘোষ দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেছেন। তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন রুবেল হোসেন এবং দেলোয়ার। ব্যাটে বলে দারুণ পারফরম্যান্স দেলোয়ারকে এনে দিয়েছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির অশোক মেনারিয়ার সঙ্গী হয়েছিল শতক না পাওয়ার আক্ষেপ। তবে দল জয় পাওয়ায় ভারতীয় এই ব্যাটসম্যানের আফসোসটা মিটেছে নিশ্চিত। ৯৮ বলে সাতটি চার আর চারটি ছয়ে ৯৫ রান করে সেঞ্চুরি থেকে পাঁচ রান আগে থেমেছেন অশোক। তাঁর দল নিজেদের ইনিংসে সংগ্রহ করেছে ২৩৮ রান।
জবাবে মাত্র ৩৪ রানে সাত উইকেট হারিয়ে একশর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জায় ডুবেছিল কলাবাগান। তাইবুর রহমান আর আবুল হাসানের ব্যাটে সেই লজ্জাটায় আর পড়তে হয়নি দলটিকে। বরং এক উইকেট হাতেই রয়ে গিয়েছিল কলাবাগানের। অষ্টম উইকেট জুটিতে তাইবুর-আবুল মিলে স্কোরকার্ডে যোগ করেন ১৩৬ রান। অবশ্য জয় পাওয়া হয়নি ক্লাবটির। ১৫ রানে হেরেছে কলাবাগান।
৮১ রান করে ফিরছেন তাইবুর। আবুলের ব্যাট থেকে এসেছে ৭৬ রান। খেলাঘরের হয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ।