মিরপুরের ডিমেরিট পয়েন্টের বিরুদ্ধে বিসিবির আপিল
দিন কয়েক আগে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে ‘গড়পড়তা মানের নিচে’ উল্লেখ করে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দিয়েছিল আইসিসি। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার কাছে সেই ডিমেরিট পয়েন্ট নিয়ে আপিল করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটি মাঠে গড়ায় হোম অব ক্রিকেটে। আর সেই ম্যাচের পিচ নিয়ে টেস্ট চলাকালেই হয়েছিল সমালোচনা। সব মিলিয়ে মোটে আড়াই দিন খেলা হয়েছিল মিরপুরে। ২১৫ রানে ম্যাচ জিতে নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে দুদলের ব্যাটসম্যানদেরই পোহাতে হয়েছিল দুর্ভোগ।
ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে থাকা ডেভিড বুন ‘অসমান বাউন্স এবং অধারাবাহিক টার্নের’ কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেন আইসিসির কাছে। সেই প্রতিবেদনের সূত্র ধরেই সংস্থাটি শেরেবাংলার নামের পাশে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়। সেই ডিমেরিট পয়েন্টের বিপক্ষে নিজেদের যুক্তি তুলে ধরে আপিল করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।
আইসিসির মহাব্যবস্থাপক (ক্রিকেট) জিওফ অ্যালারডাইস এবং ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান অনিল কুম্বলের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা এখন। ১৪ মার্চ নিজেদের রায় জানাবেন তাঁরা। এর আগে এ দুজন ম্যাচ কমিটির প্রতিবেদন, বিসিবির প্রতিবেদন, ম্যাচের ভিডিও ফুটেজ এবং বিসিবির দেওয়া যুক্তিগুলো বিবেচনা করে দেখবেন।
শেরেবাংলার নামের সঙ্গে আগে থেকেই ছিল দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট। সব মিলিয়ে তিন ডিমেরিট পয়েন্ট নিয়ে বিপাকেই রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের মূল ভেন্যুটি। আইসিসির দেওয়া প্রতিটি ডিমেরিট পয়েন্ট বহাল থাকবে পাঁচ বছরের জন্য। এ সময়ের মধ্যে যদি হোম অব ক্রিকেট মোট পাঁচ ডিমেরিট পয়েন্ট পায়, তবে এক বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের নিষেধাজ্ঞা পেতে হবে মাঠটিকে।
শুধু শেরেবাংলাই নয়, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে দেশের আরেক ভেন্যু চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামও পেয়েছিল এক ডিমেরিট পয়েন্ট। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গত বছর সিরিজের প্রথম টেস্টে বাজে আউটফিল্ডের কারণে দুই ডিমেরিট পয়েন্ট হজম করতে হয়েছিল মিরপুরের মাঠকে।