ফিক্সিং পিছু ছাড়ছে না পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের
ক্রিকেট মাঠে ফিক্সিং কেলেঙ্কারি পিছু ছাড়ছে না পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের। তদন্ত রিপোর্টে উঠে এসেছে একের পর এক ফিক্সিং কাহিনী। টি-টোয়েন্টি লিগ থেকে শুরু করে জাতীয় দল—কোথাও পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের হাত থেকে রেহাই পায়নি ক্রিকেট। ফিক্সিং কেলেঙ্কারির দায়ে সর্বনিম্ন পাঁচ বছর শাস্তি ভোগ করেছেন জাতীয় দলের তিন ক্রিকেটার সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমির।
নতুন করে যুক্ত হলো পাকিস্তানি ক্রিকেটার শাহজাইব হাসানের নাম। জাতীয় দলে অনিয়মিত এই খেলোয়াড় গত বছর পাকিস্তান সুপার লিগের দ্বিতীয় আসরে ফিক্সিংয়ের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে নিষিদ্ধ হলেন। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অ্যান্টিকরাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিট তাঁর বিরুদ্ধে এই রায় দিলেন।
দুটি অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় এই ক্রিকেটারকে। পিসিবি অ্যান্টিকরাপশন কোডের ২.৪.৪ ও ২.৪.৫ ধারায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। প্রথম ধারায় বলা হয়েছে, অভিযোগের ব্যাপারে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ হাজির করতে না পারা এবং দ্বিতীয় ধারায় বলা হয়েছে, ফিক্সিংয়ের ব্যাপারে অবগত হওয়ার পরও যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত না করা। তবে শাহজাইবের বিরুদ্ধে সরাসরি ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ মেলেনি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে কঠিন কোনো শাস্তিও দিতে পারেনি পিসিবি।
তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তি হয়েছে কেবল জুয়ারি সাজিদ ও রবির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এর বিপক্ষে যথাযথ প্রমাণ হাজির করতে না পারা এবং পিসিবিকে বিষয়টি অবহিত না করার কারণে।
তবে শাহজাইবের জন্য সুসংবাদও রয়েছে। গত বছর পিসিবি কর্তৃক মার্চের ১৮ তারিখ সাময়িক নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। তাঁর মানে নিষেধাজ্ঞা শেষ হতে এক মাসও বাকি নেই এই খেলোয়াড়ের। আগামী ১৭ মার্চ শেষ হয়ে যাবে তাঁর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ। জরিমানার প্রায় ১০ লাখ রুপি পরিশোধ করে আবার মাঠে নামতে পারবেন এই পাকিস্তানি ক্রিকেটার।
শাহজাইবের আগেও আরো পাঁচ পাকিস্তানি ক্রিকেটার পিএসএলে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি পেয়েছেন। সারজিল খান ও খালিদ লতিফ (৫ বছর), মোহাম্মদ ইরফান (১ বছর), মোহাম্মদ নেওয়াজ (২ মাস) ও নাসির জামশেদ (১ বছর)।