আবার জ্বলে উঠেছে আশরাফুলের ব্যাট
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/03/04/photo-1520166444.jpg)
ক্রিকেট মাঠে মোহাম্মদ আশরাফুল মানেই দারুণ উত্তেজনা, রানের গতি সচল রাখা। এক সময়ে বাংলাদেশের ভরসার একমাত্র নাম ছিলেন এই লিটল মাস্টার। ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে সবকিছুই এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল ক্রিকেটাকাশের সম্ভাবনাময় এই তারকার। সব বাঁধা দূরে ঠেলে আবার তিনি ক্রিকেটে ফিরেছেন। পাচ্ছেন সাফল্যও।
ফিক্সিং কেলেঙ্কারির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে গত বছর ঘরোয়া লিগে ফিরেছিলেন আশরাফুল। দীর্ঘদিন ২২ গজ থেকে দূরে থাকার কারণে নিজের নামের প্রতি ঠিক সুবিচার করতে পারছিলেন না তিনি। তবে এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দারুণ দুটি সেঞ্চুরি করে ফর্মে ফেরার জোরালো ইঙ্গিত দিলেন এক সময়কার এই তারকা ব্যাটসম্যান।
আসরে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে আশরাফুলের দল কলাবাগান ক্রীড়াচক্র হারলেও দারুণ একটি সেঞ্চুরি করেন তিনি। ১৩১ বল খেলে তিনি ১০৪ রান করেন। আজ অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে জয় পেয়েছে আশরাফুলের দল। সঙ্গে তিনি নিজেও তুলে নিয়েছেন লিগে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ১৩৬ বল খেলে ১০২ রানে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন এই তারকা ক্রিকেটার। দারুণ এক সেঞ্চুরির পাশাপাশি ম্যাচ সেরার পুরস্কারও বাগিয়ে নিয়েছেন।
২০০১ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকেই হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন আশরাফুল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বোতে অভিষেক টেস্টে সবচেয়ে কম বয়সে শতকের রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। ৬১ টেস্ট খেলে আশরাফুলের সংগ্রহ ২,৭৩৭ রান। এর মধ্যে রয়েছে ছয়টি শতক ও আটটি অর্ধশতক। আর ১৭৭টি ওয়ানডে ম্যাচে তাঁর রান ৩,৪৬৮। রঙিন জার্সিতে আশরাফুল গড়েছেন তিনটি শতক ও ২০টি অর্ধশতক।
কিন্তু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ম্যাচ পাতানোয় জড়িয়ে আট বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পান আশরাফুল। এই শাস্তির বিরুদ্ধে আপিল করেছিলেন তিনি। তাতে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমে দাঁড়ায় পাঁচ বছরে। এর মধ্যে দুই বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা হওয়ায় শাস্তিটা আসলে তিন বছরের। ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট শুরু হয়েছে এই শাস্তি, যার মেয়াদ শেষ হয় গত বছর ১৩ আগস্ট। এর পরই প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফেরেন অভিষেকে সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া এই তারকা।