বৃথা গেল মার্করাম-ডি ককের প্রচেষ্টা
ক্রিকেট চরম অনিশ্চয়তার খেলা। যে কোনো সময় পাল্টে যেতে পারে মাঠের পরিস্থিতি। ডারবানে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম টেস্টে দেখা গেল তেমনই চিত্র। ৪১৭ রানের জবাবে লড়াই করার একটা চেষ্টা করেছেন বটে এইডেন মার্করাম আর কুইন্টন ডি কক মিলে। তবে প্রথম টেস্ট ১১৮ রানে জিতে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে গেছে অতিথিরা।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার (৫১), স্টিভেন স্মিথ (৫৬) ও মিচেল মার্শের (৯৬) ব্যাটিংয়ে ভর করে ৩৫১ রানের বেশ ভালো সংগ্রহ করে অসিরা। এর জবাবে মাত্র ১৬২ রানেই গুটিয়ে যায় প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংস। এবি ডি ভিলিয়ার্সের ৭১ রান দলকে লজ্জার হাত থেকে রক্ষা করে। প্রথম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনিংসে আলো ছড়াতে পারেনি স্মিথরা। অবশ্য প্রথম ইনিংসে ভালো সংগ্রহের পর দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার মোটামুটি রান হলেই চলত। ব্যাটসম্যানরা সেই কাজটিই করেছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ২২৭ রান করেই তারা দক্ষিণ আফ্রিকাকে ছুঁড়ে দিয়েছে ৪১৭ রানের টার্গেট।
এই বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ রানেই চার উইকেট হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা শিবির। লজ্জাজনক হারের শঙ্কা যখন প্রোটিয়া শিবিরে, তখন ব্যাট হাতে দলকে টেনে তোলেন তরুণ ব্যাটসম্যান এইডেন মার্করাম।
দক্ষিণ আফ্রিকার একের পর এক উইকেট পতনের মুহূর্তে এক পাশ আগলে রাখেন এই তরুণ। সঙ্গে প্রোটিয়া ওয়ানডে অধিনায়ককে যোগ্য সমর্থন জোগান উইকেটরক্ষক ডি কক। আশা জাগানিয়া ১৪৭ রানের জুটিতে পাহাড়সম লক্ষ্যকেও একটা সময় স্বাগতিকরা দেখতে পায় নাগালের মধ্যেই। টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক তুলে নেয়া মার্করাম ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ১৪৩ রান সংগ্রহ করে ফিরেছেন মিচেল মার্শের শিকার হয়ে। কুইন্টন ডি ককও দলকে রক্ষার চেষ্টা চালান। তবে তাঁর চেষ্টা শেষ পর্যন্ত আলোর মুখ দেখেনি।
চতুর্থ দিনেই নিশ্চিত হয়ে যেত অস্ট্রেলিয়ার জয়। তবে আলোক স্বল্পতার কারণে ম্যাচ গড়ায় পঞ্চম দিন পর্যন্ত। ৯ উইকেটে ২৯৩ রান নিয়ে পঞ্চম দিন শুরু করে মাত্র ৫ রান যোগ করতে পারে প্রোটিয়ারা। কুইন্টন ডি কক (৮৩) এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়লে অস্ট্রেলিয়ার জয় নিশ্চিত হয়ে যায়।
দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৯ উইকেট তুলে নিয়ে প্রথম টেস্টে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন মিচেল স্টার্ক। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে পোর্ট এলিজাবেথে শুক্রবার সফরকারীদের বিপক্ষে ফের মাঠে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা।