মাশরাফির শেষে হোক বাংলাদেশের নতুন শুরু
ব্যর্থতার বলয়ে বন্দি বাংলাদেশ দলের আপাত দৃষ্টিতে আক্ষেপের শেষ নেই। শ্রীলঙ্কায় হারতে হয়েছে প্রথম ম্যাচটাও। তামিমদের সেই হা-হুতাশ বোধহয় আরেকটু বাড়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের খেলাগুলোতে চোখ রাখলে। ২০ ওভারের ক্রিকেট থেকে অবসরে চলে যাওয়া মাশরাফি বিন মুর্তজার আগুনে প্রতিদিনই ভস্ম হচ্ছেন ডিপিএলের ব্যাটসম্যানরা। দলপতির হ্যাটট্রিকসহ ছয় উইকেট তাসকিনরা দেখেন আর আফসোসে পোড়েন।
এই শ্রীলঙ্কাতেই গত বছর টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে গিয়েছিলেন মাশরাফি। ত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়ার আগে বাংলাদেশের সুখস্মৃতি এই একটাই। টি-টোয়েন্টিতে মাশরাফির শেষের ম্যাচে বাংলাদেশ দল উপহার দিয়েছিল জয়, সমতায় শেষ করেছিল সিরিজ।
দৃশ্যপট কত দ্রুত পাল্টায় তাঁর সবচেয়ে বড় নমুনাটা মাঠে নামার আগে বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কা ড্রেসিংরুম। বছরের শুরুতে সাফল্যের জাদুর চাদরে চড়ে বাংলাদেশ তখন উড়ে বেড়াচ্ছিল। আর শ্রীলঙ্কা দল হারিয়ে খুঁজছিল নিজেদের। এবার যখন লঙ্কার মাঠে ফের মুখোমুখি দুই দল। পাশার দানটা পাল্টে গেছে একেবারে। ব্যর্থতার ভূমিতে দাঁড়িয়ে মাহমুদউল্লাহরা দেখছেন চান্দিমালদের ওড়াওড়ি।
নিদাহাস ট্রফির তৃতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হওয়ার আগে বাংলাদেশের চিন্তাটা নিশ্চিতভাবে এক জায়গাতেই। ঘুরে দাঁড়াতে হবে এবং এই ম্যাচেই। পথের দিশা পেতে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া মাহমুদউল্লাহরা চোখ রাখুক বছর খানেক আগের এই প্রেমাদাসার ম্যাচটাতেই।
তাতে লাভ হবে কি না সে হিসেবটা আপাতত তোলা থাক। তবে অন্তত ওই দিনের জয়ের স্পৃহাটা তো আবার উঁকিঝুঁকি দেবে মুশফিকদের সামনে। সেদিন সবার চেষ্টা ছিল মাশরাফিকে একটা জয় উপহার দিয়েই বিদায় জানানোর। আজ না হয় দুঃসময়কে ‘গুড বাই’ বলে দিতে আরেকবার দাঁতে দাঁত চেপে লড়াইয়ের মঞ্চে নামুক সাব্বিররা। মাশরাফির ওই শেষের ম্যাচটাকে পুঁজি করে বাংলাদেশ পেয়ে যাক নতুন এক শুরু।