সালাউদ্দিনের শতকে রূপগঞ্জের জয়
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) জয় পেয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। এই জয়ে টুর্নামেন্টের পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তারা। দিনের অন্য দুটি ম্যাচে জয় পেয়েছে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি ও অগ্রনী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব।
বিকেএসপিতে রূপগঞ্জ ২৬ রানে জিতেছে কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের বিপক্ষে। টসে হেরে আগে ব্যাট করে সালাউদ্দিন পাপ্পুর অনবদ্য শতকে ৩১৪ রানের বিশাল পুঁজি দাঁড় করায় রূপগঞ্জ। ৯৫ বলে ১২ চার ও আট ছক্কায় সালাউদ্দিন খেলেছেন ১২৫ রানের ঝড়ো ইনিংস। পাশাপাশি অধিনায়ক নাঈম ইসলামের ৫৩ বলে অপরাজিত ৬১ রানের ইনিংসে বড় সংগ্রহ পায় রূপগঞ্জ। তাইবুর রহমান ও আবুল হাসান নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে সমানতালে লড়েছেন কলাবাগানের ব্যাটসম্যানরা। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শ্রীভাটস গোস্বামীর ১০২ বলে ৭৫ রানের সঙ্গে এদিন রান পেয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুলও। জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান সংগ্রহ করেছেন ৬৭ বলে ৬৪ রান। তবে শেষমেশ ২৮৮ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ হেরে রেলিগেশনের শঙ্কায় থাকতে হচ্ছে কলাবাগানকে। আসিফ হাসান ও পারভেজ রসুলের ঝুলিতে গিয়েছে তিনটি করে উইকেট। ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন সালাউদ্দিন।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবকে অল্প রানে গুটিয়ে দিয়ে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে খেলাঘর। তানভীর হায়দারের ৫২ রান ছাড়া শেখ জামালের পক্ষে কোনো ব্যাটসম্যান দাঁড়াতেই পারেনি খেলাঘর বোলারদের সামনে। ১৬৭ রানে প্রতিপক্ষকে অলআউট করার দিনে তানভীর ইসলাম তুলে নিয়েছেন চার উইকেট।
জবাবে অশোক মেনেরিয়ার অপরাজিত ৫৮ রানে দশ ওভার আর ছয় উইকেট হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় খেলাঘর। রাফসান আল মাহমুদের ব্যাট থেকেও এসেছে ৪৯ রান। তানভীর ইসলাম হন ম্যাচসেরা খেলোয়াড় হিসেবে।
ফতুল্লায় দিনের অন্য ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে তিন উইকেটে জিতেছে অগ্রনী ব্যাংক। মিজানুর রহমানের দারুণ এক শতকে প্রথমে ব্যাট করা ব্রাদার্স স্কোরকার্ডে তুলেছিল ২৮৯ রানের পুঁজি। ১২০ বলে ১০২ রান করেছেন মিজানুর। উদ্বোধনে তাঁরই সঙ্গী জুনায়েদ সিদ্দিকী অবশ্য শতক না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়েছেন। ৯২ রান করে এই বাঁহাতি ফিরে যাওয়ায় দেখা পেলেন না টুর্নামেন্টে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির। অগ্রণী ব্যাংকের শফিউল ইসলাম ঝুলিতে পুরেছেন চার উইকেট।
লক্ষ্য বড় হলেও নিজেদের ইনিংসে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা জয় এনে দিয়েছে অগ্রণী ব্যাংককে। শাহরিয়ার নাফিস শুন্য হাতে ফিরলেও মোট চারটি অর্ধশতকে পাঁচ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় অগ্রণী ব্যাংক। ঋষি ধাওয়ানের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৭০ রান। আজমির আহমেদ ৬৫, সালমান হোসাইন ৬৩ ও জাহিন জাভেদ করেছেন ৫৫ রান। শফিউল ইসলাম হয়েছেন ম্যাচসেরা।