আবাহনীকে একাই হারিয়ে দিলেন আরাফাত
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/03/14/photo-1521029907.jpg)
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) আজকের দিনটা যেন নিজের নামে লিখে রেখেছিলেন ইয়াসির আরাফাত। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের তরুণ এই ডানহাতি পেসার আগুনে বোলিংয়ে একাই হারিয়ে দিয়েছেন আবাহনী লিমিটেডকে। দিনের অন্য দুই ম্যাচে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব ও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব জয় পেয়েছে।
ফতুল্লায় টস জিতে আবাহনীকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় গাজী গ্রুপ। আর নেমেই ইয়াসির আরাফাতের তোপের মুখে পড়ে আবাহনী ব্যাটসম্যানরা ব্যস্ত হন আসা-যাওয়ার মিছিলে। ১৯ বছর বয়সী আরাফাত তুলে নেন আট উইকেট। আবাহনীকে গুটিয়ে যেতে হয় মাত্র ১১৩ রানেই। সর্বোচ্চ ৪৬ রান এসেছে মনোন শর্মার ব্যাট থেকে।
জবাব দিতে নেমে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা অধিনায়ক জহুরুলের অপরাজিত অর্ধশতকে সহজেই টপকে যায় ১১৪ রানের মামুলি লক্ষ্য। জহুরুল ৫২ রানে ছিলেন অপরাজিত। ম্যাচ সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারটা অবধারিতভাবেই তুলে দেওয়া হয় আরাফাতের হাতে।
মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। প্রথমে ব্যাট করে শাইনপুকুর নিজেদের স্কোরকার্ডে সংগ্রহ গড়ে ২৫১ রানের। উদয় কাউলের ৫২ রানের সঙ্গে শাদমান ইসলাম করেছেন ৪৪ রান। শরিফুল ইসলাম এবং মনির হোসেন তুলে নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট।
পাল্টা জবাবে দলীয় প্রচেষ্টায় ২৩ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় প্রাইম ব্যাংক। সর্বোচ্চ ৭৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান নাহিদুল ইসলাম। এ ছাড়া মেহেদী মারুফ সংগ্রহ ছিল ৪১ রান। নাহিদুল ইসলাম ঘোষিত হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ হিসেবে।
বিকেএসপিতে দিনের আরেক ম্যাচে জিতেছে প্রাইম দোলেশ্বর। অগ্রণী ব্যাংককে তিন উইকেটে হারিয়েছে তারা। শামসুল ইসলামের অপরাজিত ৬৪ রানে ভর করে ২০৩ রানের সাদামাটা পুঁজি পেয়েছিল অগ্রণী ব্যাংক। সঙ্গে ইসলামুল আহসান করেছন ৪৬ রান। দোলেশ্বরের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফুল্লাহ এবং জোহাইব খান।
লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে দ্রুত তিন উইকেট হারালেও মিডল অর্ডারের দক্ষতায় ম্যাচে ফিরে আসে দোলেশ্বর। চতুর্থ উইকেট জুটিতে মার্শাল আইয়ুব-ফরহাদ হোসেন তোলেন ৬৬ রান। মার্শাল ৪২ রানে ফিরে গেলে জোহাইবকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যান ফরহাদ।
৬৪ রানের জুটি গড়ে অর্ধশতক থেকে এক রান দূরে থাকতে ৪৯ রানে বিদায় নেন ফরহাদ। জোহাইবের ৪১ রানে শেষ পর্যন্ত জয়টা আসে দোলেশ্বেরর পক্ষেই। ব্যাটে-বলে দারুণ নৈপুণ্য জোহাইবকে এনে দেয় ম্যাচ সেরার পুরস্কার।