মিরপুরের ডিমেরিট পয়েন্ট বহাল রাখল আইসিসি
গত মাসে শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটকে আইসিসি বলেছিল ‘গড়পড়তা মানের নিচে’। সাথে মিরপুরের মাঠটি পেয়েছিল এক ডিমেরিট পয়েন্টও। এর ক’দিন পরেই আইসিসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি)। তবে বিসিবির করা সেই আপিল নাকচ করে দিয়ে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি বহাল রেখেছে হোম অব ক্রিকেটের ডিমেরিট পয়েন্টটি।
গত মাসেই সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটা গড়িয়েছিল শেরেবাংলার মাঠে। সফরকারীদের বিপাকে ফেলতে সে ম্যাচের উইকেটটা স্পিন বান্ধব করতে গিয়েই পড়তে হয়েছিল বিপাকে।
ম্যাচ শেষে রেফারি ডেভিড বুন নিজের প্রতিবেদনে লিখেছিলেন ‘উইকেটে অসমান বাউন্সের সঙ্গে ছিল অসঙ্গত টার্ন’। ম্যাচ রেফারির এমন অভিযোগ আমলে এনে আইসিসি শাস্তির আওতায় এনেছিল মিরপুরের মাঠকে। সেই শাস্তির বিপক্ষে আপিল করেছিল বিসিবি। ম্যাচ রেফারির প্রতিবেদন, উক্ত ম্যাচ ও মাঠের ভিডিও এবং বিসিবির দেয়া যুক্তি আমলে এনে আপিলের শুনানি জানানোর কথা ছিল।
তবে আইসিসির মহা-ব্যবস্থাপক জিওর অ্যালারডাইস এবং ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান অনিল কুম্বলে তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ডেভিড বুনের সিদ্ধান্তকেই সঠিক মনে করেছেন। তাই বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রধান মাঠটির ডিমেরিট পয়েন্টটি বহালই থাকছে।
মিরপুরের ঐ টেস্ট শেষ হয়ে গিয়েছিল মাত্র আড়াই দিনেই। সফরকারী শ্রীলঙ্কা ২১৫ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জেতার পাশাপাশি জিতে নেয় সিরিজও। মাত্র ৭৫.১ ওভার স্থায়ী টেস্টের ৪০ উইকেটের ৩০টিই নিয়েছিলেন স্পিনাররা।
শেরেবাংলার নামের সঙ্গে আগে থেকেই ছিল দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট। সব মিলিয়ে তিন ডিমেরিট পয়েন্ট নিয়ে বিপাকেই রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের মূল ভেন্যুটি। আইসিসির দেওয়া প্রতিটি ডিমেরিট পয়েন্ট বহাল থাকবে পাঁচ বছরের জন্য। এ সময়ের মধ্যে যদি হোম অব ক্রিকেট মোট পাঁচ ডিমেরিট পয়েন্ট পায়, তবে এক বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের নিষেধাজ্ঞা পেতে হবে মাঠটিকে।
শুধু শেরেবাংলাই নয়, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে দেশের আরেক ভেন্যু চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামও পেয়েছিল এক ডিমেরিট পয়েন্ট। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গত বছর সিরিজের প্রথম টেস্টে বাজে আউটফিল্ডের কারণে দুই ডিমেরিট পয়েন্ট হজম করতে হয়েছিল মিরপুরের মাঠকে।