জয় অব্যাহত রূপগঞ্জের

ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) জয় অব্যাহত রেখেছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। আব্দুল মজিদের ব্যাটে ভর করে আসরে সপ্তম জয় পেয়েছে তারা। এই জয়ের সুবাদে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা আবাহনী লিমিটেডকে ছুঁয়ে ফেলেছে রূপগঞ্জ। সমান ১০ ম্যাচ খেলে দুই দলেরই সংগ্রহ ১৪ পয়েন্ট। এদিন বাকি দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি ও শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।
বিকেএসপিতে টসে হেরে আগে ব্যাট করা ব্রাদার্স ইউনিয়ন পড়েছিল রূপগঞ্জ বোলারদের তোপের মুখে। জাতীয় দলের বাইরে থাকা পেসার মোহাম্মদ শহীদ ও বাঁহাতি স্পিনার আসিফ হাসান চার উইকেট করে নিয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটিংয়ে ধস নামান। এই দুজনের আগুনে পুড়ে ব্রাদার্স ১১ বল আগেই গুটিয়ে যায় ১৭৮ রানে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ বলে ৬৩ রান আসে মিজানুর রহমানের ব্যাট থেকে।
জবাব দিতে নেমে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান সালাউদ্দিন পাপ্পু দ্রুত ফিরলেও আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আব্দুল মজিদ সামলে নিয়েছিলেন সে চাপ। দ্বিতীয় উইকেট জুইকেট জুটিতে মোহাম্মদ নাঈমের সঙ্গে ৭১ রানের জুটি গড়েই থামেননি মজিদ। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান অধিনায়কের নাঈম ইসলামের সঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটিতেও তুলে নেন ৬৯ রান।
শতকের দারুণ সম্ভাবনা জাগালেও শেষ পর্যন্ত ৯৪ রানেই অপরাজিত থেকে কিছুটা আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে মজিদকে। অবশ্য দলের জয়ে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের সেই আফসোস অনেকটাই দূর হয়েছে, সেটা অনুমেয়। ১১০ বলে সাত ছক্কা ও পাঁচ চারে অপরাজিত থেকে দলকে সাত উইকেটের জয় এনে দিয়ে তবেই মাঠ ছেড়েছেন মজিদ। ম্যাচ সেরার পুরস্কারটা গিয়েছে বাঁহাতি স্পিনার আসিফের দখলেই।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দিনের অন্য ম্যাচে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ছয় উইকেটে পরাজিত করেছে খেলাঘর। আগে ব্যাট করা মোহামেডানকে ১৮১ রানেই অলআউট করে দেয় ক্লাবটি। স্পিনার তানভীর ইসলাম খেলাঘরের হয়ে নেন চার উইকেট। সাদা-কালো শিবিরের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৫ রান এসেছে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান জনি তালুকদারের ব্যাট থেকে।
পাল্টা জবাবে অমিত মজুমদার এবং অশোক মেনারিয়ার অর্ধশতকে চার উইকেট হারিয়েই ম্যাচ জিতে নেয় খেলাঘর। অমিত ১০৫ বলে ৭৬ রান করে আউট হলেও অশোক অপরাজিত রয়ে যান ৬৬ বলে ৫৩ রানে। তানভীর পান ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
ফতুল্লার খান শাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ৭৩ রানে হারিয়েছে কলাবাগান ক্রীড়াচক্রকে। প্রথমে ব্যাট করে শেখ জামাল গড়েছিল ২৬৩ রানের পুঁজি। রাকিন আহমেদের ৭৮ বলে ৭১ রানের সঙ্গে তানবীর হায়দারের ব্যাট থেকে আসে ৬০ বলে অপরাজিত ৬১ রান। আবুল হাসান কলাবাগানের হয় শিকার করেন তিন উইকেট।
অবশ্য কলাবাগান ইনিংসে মাত্র ৪৬ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে যায়। তাইবুর রহমান ও মুক্তার আলী যা একটু লড়েছেন ব্যাট হাতে। দুজনের ব্যাট থেকেই এসেছে সমান ৫১ রান করে। মোহাম্মদ আশরাফুল দলকে হতাশায় ডুবিয়ে ফিরেছেন মাত্র ১৬ রানেই। ব্যাটসম্যানদের ভরাডুবির দিনে ১৯০ রানেই গুটিয়ে যায় কলাবাগান। এ পরাজয়ে ক্লাবটির রেলিগেশন শঙ্কাটা বেড়েছে আরো।
ইলিয়াস সানি ঝুলিতে পুরেছেন চার উইকেট। শেখ জামাল ব্যাটসম্যান রাকিন আহমেদ হয়েছেন ম্যান অব দ্য ম্যাচ।