ফাইনালটা কি হবে লাল-সবুজের রঙে রাঙানো?
নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশের সামনে শ্রীলঙ্কা যেন কোনো বাঁধাই না। শ্রীলঙ্কা যত রানেরই টার্গেট ছুঁড়ে দিক না কেন, টাইগাররা সেই বাঁধা টপকে যায়। লঙ্কানদের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই যার প্রমাণ দিয়েছে মুশফিক-তামিমরা। ২১৫ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দিয়ে স্বাগতিকরা হয়তো নির্ভারই ছিল। কিন্তু কে জানত, টি- টোয়েন্টির হিসেবে এমন রানের পাহাড়ও টপকে যাবে বাংলাদেশ! গতকালের ম্যাচেও টাইগার শিবির বিজয় উৎসব করেছে লঙ্কানদের বিপক্ষে।
অবশ্য প্রথম ম্যাচের মতো এত বেশি রান টপকাতে হয়নি, তবুও লঙ্কানদের বিপক্ষে টুর্নামেন্টে জয়ের ধারা বজায় রেখেছিল বাংলাদেশ। অবশ্য মাঝখানে ভারতের কাছে একটি ম্যাচে হেরেছিল। ১৭৭ রানের ইনিংস তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস থেমে গেছে ১৫৯ রানেই। সেই ভারতের বিপক্ষেই টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলতে হবে বাংলাদেশের।
অবশ্য কোনো টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের ফাইনালে খেলার অতীত অভিজ্ঞতা ভালো নয়। এর আগে বেশ কটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেও লাল-সবুজের দলকে ফিরতে হয়েছিল খালি হাতে। এবার টাইগারদের সামনে প্রতিপক্ষ টুর্নামেন্টের ফেবারিট ভারত।
অবশ্য ভারতীয় দলের অভিজ্ঞ পাঁচ সদস্যই বিশ্রামে। তবুও অভিজ্ঞতায় বিবেচনায় এই দলটি বাংলাদেশ থেকে অনেক এগিয়ে। তবে এই দলকে হারানোর মতো যোগ্য সদস্যও বাংলাদেশ দলে আছেন। টাইগার শিবিরে সবচেয়ে বড় সুখবর দলের নির্ভরশীল অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান চোটকে পুরোপুরি বিদায় জানিয়ে ফিরে এসেছেন স্বরূপে। দলকে সামনে থেকে দিচ্ছেন নেতৃত্বও।
মাহমুদউল্লাহকে দুঃসময়ে দলের যে কতটা প্রয়োজন সেটা প্রমাণ দিয়েছেন তিনি গত ম্যাচেও। দলের বিপদের সময়ে দলকে টেনে তুলেছেন খাঁদের কিনারা থেকে। ছিনিয়ে এনেছেন জয়। মুশফিকুর রহিম আছেন ধারাবাহিক ফর্মে। সাকিব আল হাসান, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান বোলিংয়ে সেরাটা দিলে ব্যাটে- বলে মিলিয়ে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালটা হতে পারে লাল-সবুজের রঙে রাঙানো।