জয়ে ফিরেছে আবাহনী
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/03/18/photo-1521373694.jpg)
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে দারুণ শুরুর পরও হেরে গেছে নবাগত দল শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। টুর্নামেন্টের অষ্টম জয় আবাহনী লিমিটেডকে এগিয়ে দিয়েছে পয়েন্ট টেবিলে। দিনের অন্য দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স এবং খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি।
ফতুল্লায় প্রথমে ব্যাট করা আবাহনী নিজেদের স্কোরকার্ডে বড় সংগ্রহ গড়ে নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে চড়ে। ১২০ বলে ১৫০ রানের অপরাজিত ইনিংসে শান্তর ব্যাটে উঠেছিল ছক্কার ঝড়। নয় চারের সঙ্গে সমান নয়টি ছক্কায় ইনিংসটাকে সাজিয়েছেন তিনি।
শান্ত সেঞ্চুরি পেলেও শতরান না পাওয়ার আফসোসে পুড়েছেন আবাহনী উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান। ১১৪ বলে শতক থেকে ৬ রান আগে ৯৪ রানে বিদায় নিতে হয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ অধিনায়ককে। এই দুজনের ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে আবাহনী গড়ে ৩৩৫ রানের পুঁজি।
জবাব দিতে নেমে ফারদিন হাসান অনির দুর্দান্ত শতকের পরেও মন্থর ব্যাটিংয়ে কপাল পুড়েছে শাইনপুকুরের। ১১৮ বলে ১০৪ রান করে ফিরেছেন অনি। তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকেও এসেছে ৮৩ রান। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শাদমান ইসলাম সংগ্রহ করেছেন ৫৬ রান। এরপরও ইনিংস শেষে এবারই প্রথম প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেটে অংশ নেওয়া দলটি স্কোরবোর্ডে তোলে ২৭৯ রান। মাশরাফি বিন মুর্তজা তুলে নেন জোড়া উইকেট। ৫৬ রানে ম্যাচ জেতা আবাহনীর শান্তর হাতে তুলে দেওয়া হয় ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
এদিনের জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনী পয়েন্ট তালিকায় এককভাবে শীর্ষে চলে যায়। অবশ্য এর আগে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে ছিল তারা।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে লো-স্কোরিং ম্যাচে জয় পেয়েছে গাজী গ্রুপ। প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের ছুঁড়ে দেওয়া ১৮৭ রানের লক্ষ্য অতিক্রম করতে অবশ্য ঘাম ঝরাতে হয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। ছয় উইকেট হারিয়ে ফেললেও ম্যাচটা অবশ্য জিতে নেয় গাজী গ্রুপই।
ফজলে মাহমুদের ৬৫ রান ছাড়া দোলেশ্বরের অন্য কোনো ব্যাটসম্যানকে দাঁড়াতেই দেয়নি গাজী গ্রুপ বোলাররা। পাকিস্তানি ফাওয়াদ আলম নিয়েছেন তিন উইকেট। টিপু সুলতান উইকেট শিকার করেছেন দুটি।
নিজেদের ইনিংসে গাজী গ্রুপ চার উইকেট হারিয়ে বসে একশো রানের আগেই। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসানের ব্যাট থেকে এসেছিল ৫৯ রান। বল হাতে তিন উইকেটের পর ফাওয়াদ এবার ব্যাট হাতে রুখে দাঁড়ান দোলেশ্বর বোলারদের সামনে। তাঁর ৪৬ রানেই নিশ্চিত হয়ে যায় দলের জয়। মেহেদী ম্যাচসেরা হন।
বিকেএসপিতে দিনের আরেক ম্যাচে শেষ বলে শ্বাসরুদ্ধকর এক জয় পেয়েছে খেলাঘর। এক বলে প্রয়োজন ছিল তিন রানের। চার মেরেই প্রাইম ব্যাংকের বিরুদ্ধে খেলাঘরকে দারুণ এক জয় এনে দেন মাসুম খান। সর্বোচ্চ ৭১ রান করেছেন খেলাঘর অধিনায়ক অমিত মজুমদার। এ ছাড়া ভারতীয় ব্যাটসম্যান অশোক মেনারিয়ার ব্যাট থেকে এসেছে ৬৩ রান। রাফসান আল মাহমুদের ৪০ রানও দলের জয়ে রেখেছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। শরিফুল ইসলামের চার উইকেটও জেতাতে পারেনি প্রাইম ব্যাংককে।
এর আগে আল-আমিনের ‘নড়বড়ে নব্বইয়ে’ ভর করে প্রাইম ব্যাংক স্কোরকার্ডে জড়ো করেছিল ২৬১ রানের পুঁজি। ৯৬ বলে ৯৪ রান করে ফিরতে হয়েছিল আল-আমিনকে। মোহাম্মদ সাদ্দাম খেলাঘরের হয়ে ঝুলিতে পুরেছিলেন চার উইকেট। অমিত মজুমদার ঘোষিত হয়েছেন ম্যাচ সেরা ক্রিকেটার।