সাব্বিরের ব্যাটে বাংলাদেশের লড়াকু পুঁজি
নিদাহাস ট্রফির ফাইনালের রণে প্রেমাদাসায় ভারতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো বাংলাদেশ দল এদিন দেখা পায়নি বড় কোন স্কোরের। তবে সাব্বির রহমানের ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ করেছে ১৬৬ রানের পুঁজি।
টস জিতে সন্ধ্যায় বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে আগের ম্যাচের একাদশটা পরিবর্তন করেনি বাংলাদেশ। অন্যদিকে ভারতীয় দল একাদশে এনেছে একটি পরিবর্তন। মোহাম্মদ সিরাজের ব্যয়বহুল বোলিং তাঁকে ছিটকে দিয়েছে দল থেকে। এক ম্যাচ পর দলে ফিরেছেন জয়দেব উনাদকাট।
আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের ব্যাটে পেয়েছিল দারুণ সূচনা। তবে মাত্র চার রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে দারুণ চাপে পড়া বাংলাদেশকে পথে ফিরিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম আর সাব্বির রহমান।
ওয়াশিংটন সুন্দর এদিনও প্রথম আঘাত হেনেছেন বাংলাদেশ শিবিরে। লিটন দাস ফিরেছেন এই ডানহাতি স্পিনারের বলেই। সে শোক কাটতে না কাটতেই তামিম ইকবালকে দারুণ এক ক্যাচে থামিয়েছেন ভারতীয় পেসার শারদুল ঠাকুর। বাংলাদেশি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিয়ে যুবেন্দ্র চাহাল সাজঘরের রাস্তা দেখিয়েছেন সৌম্য সরকারকেও। বিনা উইকেটে ২৭ রান থেকে এক ঝটকায় বাংলাদেশের স্কোরকার্ড হয়ে যায় ৩৩ রানে ৩ উইকেট!
এর পর দারুণ দৃঢ়তা দেখান সাব্বির রহমান ও মুশফিকুর রহিম জুটি। ৩৫ রানের জুটিতে বাংলাদেশের ইনিংস মেরামত করছিলেন মুশফিক- সাব্বির। এ সময় আবারও ভারতের ত্রাতা হয়ে মঞ্চে আসেন চাহাল। এবার এই লেগ স্পিনারের শিকার পুরো সিরিজে দারুণ ফর্মে থাকা মুশফিকুর রহিম।
মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে সাব্বিরের এরপরের পথচলাটা বাংলাদেশকে জোগাচ্ছিল ভরসা। নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১হাজার রান পূরণের দিনে ভালই এগোচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু বাজে রান আউটের শিকার হয়ে ফিরে যান গত ম্যাচের জয়ের নায়ক।
তবে সাব্বির বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়েছেন নিজের ব্যাটেই। দেখা পেয়েছেন অর্ধশতকের। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান রানআউটের ফাঁদে কাটা পড়লেও সাব্বির রান তুলেছেন ঝড়ো গতিতেই। উনাদকাটের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ৫০ বল খেলে করেছেন ৭৭ রান। ইনিংসে সাত চারের সাথে ছয় হাঁকিয়েছেন চারটি।
ইনিংসের শেষ ওভার পর্যন্ত অবশ্য সংগ্রহটা হতে যাচ্ছে ছোটই, শঙ্কা ছিল এমনই। মেহেদী হাসান মিরাজ ১৮ রান তুলে নিয়ে শারদুল ঠাকুরের সেই ওভারেই বাংলাদেশকে পৌঁছে দেন চ্যালেঞ্জিং স্কোরে। দুই চার আর এক ছয়ে মিরাজ অপরাজিত ছিলেন সাত বলে ১৯ রানে।
ভারতীয় দলের হয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন লেগ স্পিনার চাহাল। একাদশে ফিরেই জয়দেব উনাদকাটের শিকার দুই উইকেট। সুন্দরের ঝুলিতে গেছে এক উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৬৬/৮ (সাব্বির ৭৭, মাহমুদউল্লাহ ২১, মিরাজ ১৯*, তামিম ১৫, লিটন ১১, মুশফিক ৯, সাকিব ৭, সৌম্য ১, রুবেল ০*, মুস্তাফিজ ০। চাহাল ১৮/৩, উনাদকাট ৩৩/২, সুন্দর ২০/১)।