সতীর্থদের নিয়ে গর্বিত সাকিব
বাংলাদেশের জন্য জয়ের মঞ্চটা ছিল প্রস্তুত। উল্লাসে মত্ত হতে তৈরি ছিল পুরো দেশ। তবে রুবেল হোসেনের করা এক ওভার আর সৌম্য সরকারের করা ইনিংসের শেষ বলের ছক্কায় হাজার মাইল দূরে আর পারলই না বাংলাদেশ। পঞ্চমবারের মতো ফাইনালে বাংলাদেশকে আবার পুড়তে হলো হতাশাতেই। নিদাহাস ট্রফির হেরে যাওয়া ফাইনালে সতীর্থদের পাশেই থাকলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বললেন তিনি গর্বিত রুবেল-সৌম্যদের নিয়ে।
ম্যাচটা হেলে ছিল বাংলাদেশের দিকেই। ১২ বলে দরকার ৩৪ রান। দলের সবচেয়ে যোগ্য বোলারের হাতেই বলটা তুলে দিয়েছিলেন সাকিব। তবে রুবেল হতাশ করলেন এক ওভারে ২২ রান গুনে। দিনেশ কার্তিক যেন অতিমানব হয়ে গিয়েছিলেন। এক রান দিয়ে ঠিক এর আগের ওভারেই মুস্তাফিজুর রহমান তুলে নিয়েছিলেন এক উইকেট।
অবশ্য ততক্ষণে কাটার মাস্টারের ওভারের কোটাটা শেষ। তাই শেষ ওভারে বেছে নিতে হয়েছিল সৌম্যকেই। ৬ বলে ১২ রানের কঠিন সমীকরণ পেরিয়ে ম্যাচটা এই অলরাউন্ডার নিয়ে গেলেন শেষ বলে। আর সেই বলটাই দিনেশ কার্তিক সীমানার ওপাশে উড়িয়ে পাঠিয়ে ভেঙে দিলেন বাংলাদেশের স্বপ্ন। ভারতকে এনে দিলেন অবিস্মরণীয় এক জয়।
এমন হতাশার হারের পরও সতীর্থদের কাঁধেই হাতটা রাখছেন দলনায়ক সাকিব। প্রেমাদাসায় ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, কাউকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চান না; বরং সতীর্থদের নিয়ে গর্ব করে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘কাউকে দোষ দিতে পারব না আমি। পুরো ম্যাচের দুটি ওভারই খারাপ হয়েছে, মিরাজ আর রুবেলের ওভার দুটিই। এমনটা টি-টোয়েন্টিতে হতেই পারি। আমি শুধু বলতে চাই, আমি আমার দলের ফিল্ডিং ও বোলিং নিয়ে গর্বিত।’
১৯তম ওভারে রুবেল আর শেষ ওভারে সৌম্যকে আনার ব্যাখ্যাটা সাকিব তুলে রেখেছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে জানালেন সেটাই, ‘মুস্তাফিজের ওই ওভারের পরে ওদের দরকার ছিল দুই ওভারে ৩৪ রান। নিজের তিন ওভারে মাত্র ১৩ রান দেওয়া রুবেলই আজকে আমাদের সেরা বোলার ছিল। ওর ওপর আমার বিশ্বাস ছিল। অনেকবারই সে আমাদের হয়ে কাজটা করে দিয়েছে।’
টি-টোয়েন্টির বাংলাদেশ দলপতি আরো বলেছেন, ‘রুবেল খুব বাজে বল করলেও সর্বোচ্চ ১৫ রানই দেবে। তাই সৌম্যের জন্য শেষ ওভারে ২০ রানের মতো থাকবে। যেটা তাঁকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। রুবেলকে ১৯তম ওভারে এ জন্যই এনেছিলেন। কিন্তু আজ কাজে আসেনি।’