টানা তিন জয়ের পর হারল রূপগঞ্জ
শেষ তিন ম্যাচে জয় পেয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। তবে আজকের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের(ডিপিএল) লড়াইয়ে পরাজিতের দলেই থাকতে হয়েছে রূপগঞ্জকে। ক্লাবটিকে হারতে হয়েছে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে। দিনের অন্য দুই ম্যাচে জয়ী দলের নাম যথাক্রমে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।
শেরেবাংলায় প্রথমে ব্যাট করা রূপগঞ্জের টপঅর্ডার এদিন ছিল পুরোপুরিই ব্যর্থ। মাত্র ৫৫ রানেই নাঈম ইসলামের দল হারিয়ে ফেলে পাঁচ উইকেট। এরপর তুষার ইমরানের ব্যাটে ভর করে দলটি পার করেছিল ২০০ রানের ঘর।
দলকে সম্মানজনক পুঁজি এনে দিলেও তুষারকে পুড়তে হয়েছে শতক বঞ্চিত হওয়ার আফসোসে। ১২১ বলে ৯৮ রান করে ফিরেছিলেন বাংলাদেশি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক। আটটি চারের সঙ্গে এক ছক্কায় তুষার সাজিয়েছেন নিজের ইনিংস। আল-আমিন হোসেন অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে নিয়েছেন চার উইকেট।
জবাবে শাহরিয়ার নাফিসের ৮২ রান গড়ে দিয়েছিল অগ্রণী ব্যাংকের জয়ের ভিত। ১০৩ বলে ১০ চারের মারে বাঁহাতি নাফিস গড়েছেন দলের ইনিংসের সর্বোচ্চ রান। এক রানের জন্য অর্ধশতকের দেখা না পেলেও দলকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়েই মাঠে ছেড়েছেন ধীমান ঘোষ। ৪৯ রান এসেছে এই উইকেটরক্ষকের ব্যাট থেকে। অগ্রণী ব্যাংক দলপতি নাফিসকেই বেছে নেওয়া হয় ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কারের জন্য।
বিকেএসপিতে কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের হয়ে মোহাম্মদ আশরাফুলের শতক ম্লান করে দিয়ে জয় পেয়েছে মোহামেডান। ২৬১ রানের লক্ষ্যমাত্রা চার বল আর দুই উইকেট হাতে রেখেই পার করে ফেলে সাদা-কালো শিবির। বোলিংয়ে কাজী অনিকের ছয় উইকেটের পর এনামুল হক এবং রনি তালুকদারের অর্ধশতকই গড়ে দেয় মোহামেডানের জয়ের ভিত। ৫৭ রান এসেছে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান এনামুলের ব্যাট থেকে। ওয়ান ডাউনে নেমে রনি করেছেন ৫১ রান। শেষদিকে তাইজুল ইসলামের অপরাজিত ৩৮ রান নিশ্চিত করেছে দলের জয়।
ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করা কলাবাগান এদিন আশরাফুলের ব্যাটে পেয়েছিল বড় স্কোর গড়ার ভিত। ডিপিএলের এবারের আসরে নিজের তৃতীয় আর লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের সপ্তম শতক হাঁকিয়ে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ফিরেছেন ১২৪ বলে ১২৭ রান সংগ্রহ করে। ইনিংসে চার হাঁকিয়েছেন ১৩টি, ছক্কা একটি।
তবে মাত্র ১৯ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে কলাবাগান আর দেখা পায়নি বড় সংগ্রহের। মোহামেডান পেসার কাজী অনিক ৪৯ রান খরচায় তুলে নেন ছয় উইকেট। ম্যাচ সেরার পুরস্কারও যায় এ বাঁহাতই তরুণ পেসারের হাতেই।
দিনের আরেক ম্যাচে ফতুল্লায় স্বল্প পুঁজি গড়েও বড় জয় পেয়েছে শেখ জামাল। ৭৪ রানে ধানমণ্ডির ক্লাবটি পরাজিত করেছে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে।
প্রথমে ব্যাট করা শেখ জামালের ১৮৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে গিয়ে ব্রাদার্স গুটিয়েছে ১১০ রানেই। দুই স্পিনার ইলিয়াস সানি এবং সোহাগ গাজী নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট।
এর আগে ব্রাদার্স পেসার খালেদ আহমেদের তিন উইকেটের দিনে শেখা জামালের সংগ্রহ ছিল ১৮৪ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেছেন তানবীর হায়দার। ম্যাচ সেরার পুরস্কারটা পেয়েছেন ইলিয়াস সানী।