হার দিয়েই রূপগঞ্জের সুপার লিগ শুরু

মাঠে গড়িয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগ। আজ শনিবার সুপার লিগের প্রথম ম্যাচেই হারতে হয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে। অবশ্য এই পর্বে জয় দিয়ে শুরু করেছে টেবিলের শীর্ষে থাকা আবাহনী লিমিটেড। একই দিনে জিতেছে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবও।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম ভারতীয় হানুমা বিহারির শতকে ভর করে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ৭৩ রানের জয় পেয়েছে আবাহনী। প্রথমে ব্যাট করা আবাহনী নির্ধারিত ৫০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে তোলে ২৭৮ রান। ১২৪ বলে ১০৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংসে আসে বিহারির ব্যাট থেকে। ৬১ বলে ৭২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ মিঠুন।
জবাব দিতে নেমে সাত ওভার আগেই গুটিয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। গাজীর গ্রুপের ভারতীয় ক্রিকেটার অনুস্তাপ মজুমদার করেছেন সর্বোচ্চ ৬৪ রান। সানজামুল ইসলাম আবাহনীর পক্ষে শিকার করেন চার উইকেট। মাশরাফি বিন মুর্তজার ঝুলিতে উইকেট যায় দুটি। অনবদ্য শতকে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান বিহারি।
বিকেএসপিতে দিনের আরেক ম্যাচে হেরেছে রূপগঞ্জ। শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের কাছে সাত উইকেটে হেরেছে তারা। প্রথমে ব্যাট করা রূপগঞ্জের ২৬১ রানের লক্ষ্য শেখ জামাল অতিক্রম করে ১২ বল হাতে রেখেই।
সৈকত আলী দ্রুত ফিরলেও ভারতীয় ওপেনার উন্মুক্ত চাঁদ শতক হাঁকিয়েই শেখ জামালকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। ১৩৩ বলে ২০ চারে চাঁদের ব্যাট থেকে এসেছে ১২৭ রান। রাকিন আহমেদ ও তানভীর হায়দারের জোড়া অর্ধশতকে ম্যাচের বাকি পথটা পাড়ি দিতে আর কোন কষ্টই হয়নি শেখ জামালের। রাকিন ৫২ রানে ফিরে গেলেও তানভীর অপরাজিত ৬৬ রানের ইনিংসে মাঠে ছাড়েন দলকে জিতিয়েই। ম্যাচ সেরার পুরস্কার গিয়েছে চাঁদের হাতেই।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেওয়া রূপগঞ্জ অধিনায়ক নাঈম ইসলামই ব্যাট হাতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। চারটি চারে তাঁর ৫১ রান এসেছে ৬৬ বল থেকে। এছাড়া তুষার ইমরানের অপরাজিত ৪৮ রান এবং পারভেজ রসুলের ৪৪ রানে স্কোরবোর্ডে ২৬০ রানের পুঁজি জড়ো করে রূপগঞ্জ। রবিউল হক শেখ জামালের হয়ে ঝুলিতে পোরেন পাঁচ উইকেট।
অন্যদিকে ফতুল্লায় খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির বিপক্ষে দারুণ এক জয় পেয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর। অধিনায়ক ফরহাদ রেজার দারুণ ব্যাটিং নৈপুণ্যে তিন উইকেটের জয়েই এবারের ডিপিএলের সুপার লিগ শুরু করেছে দোলেশ্বর।
যদিও খেলাঘরের ছুঁড়ে দেওয়া ২৫৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭২ রানেই সাত উইকেট হারিয়ে বসে দোলেশ্বর। তবে অষ্টম উইকেট জুটিতে শাহানুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে দলপতি রেজা গড়েন অপরাজিত ৮৭ রানের জুটি। শেষমেশ ১৭ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় দোলেশ্বরের। ৩৭ বলে ৬৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে রেজা রয়ে যান অপরাজিতই। ম্যাচসেরার পুরস্কারও যায় তাঁর ঘরেই।
প্রথমবারের মতো সুপার লিগে ওঠা খেলাঘর প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছিল ২৫৮ রান। রবিউল ইসলাম রবি সর্বোচ্চ ৬২ রান করেছেন দলের ইনিংসে। এছাড়া অমিত মজুমদারের ব্যাট থেকে এসেছিল ৫০ রান এবং অশোক মেনারিয়া হাঁকিয়েছিলেন ৫৪ রানের ইনিংস।