রূপগঞ্জের জয়ের দিনে বৃথা গেল লিটনের শতক
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/03/27/photo-1522152945.jpg)
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ জয়ের ধারায় ফিরেছে। অবশ্য তাদের জয়ের দিনে কপাল পুড়েছে লিটন দাসের। ম্যাচে তাঁর হাঁকানো শতকটা গিয়েছে বৃথা। মিরপুরে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ নাঈম ও আব্দুল মজিদের ব্যাটে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে রূপগঞ্জ জয় পেয়েছে পাঁচ উইকেটে।
আসরের শুরুর দিকে পাঁচ ম্যাচ খেলেই লিটন দাসকে ধরতে হয়েছিল শ্রীলঙ্কার বিমান। নিদাহাস ট্রফিতে সাকিব আল হাসানের বদলি ছিলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। লঙ্কায় দারুণ এক টুর্নামেন্ট কাটিয়ে ডিপিএলের মঞ্চে ফিরে প্রথম ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারেননি লিটন। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে শুরু করেছেন সেখান থেকেই, ঠিক যেখানে শেষ করে গিয়েছিলেন।
এই নিয়ে চলতি ডিপিএলে লিটনের তৃতীয় শতক। ১২৭ বল খেলে ফিরেছেন ১০৭ রানে। ইনিংসে চার হাঁকিয়েছেন নয়টি আর ছক্কা দুটি। শ্রীলঙ্কার বিমান ধরার ঠিক আগের ম্যাচেও হাঁকিয়েছিলেন শতক। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচে তিন শতক আর এক অর্ধশতকে ৮৬.১৬ গড়ে লিটনের সংগ্রহ ৫১৭ রান। আগের ডিপিএল আসরে আবাহনী লিমিটেডের হয়ে খেলা লিটনই ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।
লিটন শতক হাঁকালেও বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বড় হয়নি প্রাইম দোলেশ্বরের সংগ্রহ। সাত উইকেট হারিয়ে স্কোরকার্ডে ২৫৭ রান তোলে দলটি। অধিনায়ক নাঈম ইসলাম রূপগঞ্জের হয়ে তুলে নেন জোড়া উইকেট।
জবাব দিতে নেমে উদ্বোধনী দুই ব্যাটসম্যানই গড়ে দেন রূপগঞ্জের জয়ের ভিত। মজিদ ফিরে গেলে ভেঙ্গে যায় ১৪০ রানের জুটি। ৯০ বলে দারুণ ফর্মে থাকা মজিদের ব্যাট থেকে এসেছে ৫৮ রান। তবে রূপগঞ্জের হয়ে সর্বোচ্চ রান এসেছে মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট থেকে। ১০১ বলে ৮৮ রানের ইনিংস খেলে নাঈম অবশ্য ফিরেছেন শতক না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়েই। সেঞ্চুরি থেকে ১২ রানের দূরত্বে বিদায় নিলেও দলকে জয় এনে দেওয়া ইনিংসটা সাজিয়েছেন ছয় চার এবং পাঁচ ছক্কায়।
মুশফিকুর রহিমের ৪১ রানের সঙ্গে দলনায়ক নাঈমের ৩১ রানে আট বল আর পাঁচ উইকেট হাতে রেখেই জয় পায় রূপগঞ্জ। ম্যাচ সেরার পুরস্কার যায় মোহাম্মদ নাঈমের হাতে।
দিনের অন্য ম্যাচে বিকেএসপিতে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকে ৩৪ রানে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। প্রথমে ব্যাট করা গাজী গ্রুপের ছুঁড়ে দেওয়া ৩০৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে পারেনি খেলাঘর। প্রথমবারের মতো ডিপিএলের সুপার লিগে ওঠা খেলাঘর নিজেদের ইনিংসে করেছে ২৭০ রান।
দলের জিম্বাবুইয়ান সদস্য সিকান্দার রাজার ৮৮ বলে ৯০ রানের ইনিংসে বড় স্কোরের ভিত পায় গাজী গ্রুপ। ইমরুল কায়েসও খেলেছেন ৬৩ রানের ইনিংস। শেষদিকে নাদিফ চৌধুরীর ঝড়ো ৪৫ রানে ৩০০ ছাড়ানো পুঁজি পায় গাজী গ্রুপ। তানভীর ইসলাম খেলাঘরের হয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট।
নিজেদের ইনিংসে ভালো শুরু পেলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেনি খেলাঘর। উদ্বোধনী জুটিতে এসেছিল ১০৮ রান। তবে এর পরই ম্যাচে খেই হারিয়ে বসে খেলাঘর। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন করেছেন সর্বোচ্চ ৬৯ রান। আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রবিউল ইসলাম রবির ব্যাট থেকে এসেছে ৬৭ রান। আবু হায়দার রনি গাজী গ্রুপের পক্ষে নিয়েছেন তিন উইকেট। সিকান্দার রাজা হয়েছেন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়।