আশরাফুলের শতক ম্লান
ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) টিকে থাকার ম্যাচে কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের হয়ে শতক হাঁকিয়েছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। অবশ্য দিন শেষে সে শতককে ম্লান করে দিয়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। এই পরাজয়ে কলাবাগানও ছিটকে গেল প্রিমিয়ার ডিভিশন থেকে।
বিকেএসপিতে প্রথমে ব্যাট করা কলাবাগানের সংগ্রহ ছিল ৫ উইকেটে ২৪৬ রান। প্রতিপক্ষের দেওয়া লক্ষ্য অগ্রণী ব্যাংক অতিক্রম করে পাঁচ উইকেট হাতে রেখেই।
টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেওয়া কলাবাগান শুরুতেই হারিয়ে বসেছিল তিন উইকেট। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ১৬৩ রান তুলে দলের সে বিপর্যয় রুখেছিলেন আশরাফুল ও তাইবুর রহমান। শতক থেকে ১৮ রান দূরত্বে ৮২ রানে তাইবুর ফিরলেও আশরাফুল তুলে নিয়েছেন টানা দ্বিতীয় শতক।
এই শতক নিয়ে এবারের আসরে আশরাফুল দেখা পেলেন চতুর্থ শতকের। আট চার আর দুই ছক্কায় ১৩৭ বলে আশরাফুল ফিরে গেছেন ১০৩ রানে। অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে সৌম্য সরকার নিয়েছেন দুই উইকেট।
জবাব দিতে নেমে শাহরিয়ার নাফিসের সেঞ্চুরিতে সহজেই জয় তুলে নেয় অগ্রণী ব্যাংক। সৌম্য দ্রুত ফিরলেও সালমান হোসেনকে নিয়ে ১৭২ রানের জুটিতে নাফিস ম্যাচকে হতে দেননি হাতছাড়া। সালমান ৮৩ রানে ফিরেছেন সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে।
তবে নাফিস তুলে নিয়েছিলেন নিজের শতক। ১৪২ বলে ১৩ চার আর দুই ছয়ে ১০৯ রান করে অগ্রণী ব্যাংক অধিনায়ক ফিরেছেন আশরাফুলের বলেই। ব্যাট হাতে শতকের পর বল হাতেও আশরাফুল নিয়েছেন দুই উইকেট। লাভ হয়নি তাতে, দলের ঠেকাতে পারেননি আশরাফুল।
পাঁচ উইকেটের পরাজয়ের প্রিমিয়ার লিগ থেকে প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে নেমে গিয়েছে কলাবাগান। তাই ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে রেলিগেশন লিগের ম্যাচটি কলাবাগানের জন্য হয়ে পড়েছে শুধুই আনুষ্ঠানিকতা রক্ষার ম্যাচ।
আগামী রোববার ব্রাদার্স ইউনিয়ন যদি পরাজিত করে কলাবাগানকে তবে অগ্রণী ব্যাংকের সঙ্গে পয়েন্ট সংখ্যা সমান হয়ে যাবে ব্রাদার্সের। ফলে ব্রাদার্স-অগ্রণী ব্যাংক ম্যাচটি হয়ে যাবে ডিপিএলের পরের মৌসুমের টিকেট পাওয়ার ম্যাচ।