এবার শেষ চারে ওঠার লড়াই

আর কদিন বাকি, এর পরই শুরু হয়ে যাবে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই। আগামী বুধবার শেষ আটের লড়াইয়ে প্রথম মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ ও জুভেন্টাস এবং বায়ার্ন মিউনিখ নামবে সেভিয়ার বিপক্ষে। আর বৃহস্পতিবার বার্সেলোনা আতিথ্য দেবে রোমাকে, লিভারপুলের মাঠে লড়বে ম্যানচেস্টার সিটি।
দুই স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা পেয়েছে দুই ইতালীয় প্রতিপক্ষ। কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে রিয়াল মাদ্রিদ ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনকে (পিএসজি) পরাজিত করে। দুই লেগ মিলিয়ে মোট ৫-২ ব্যবধানে বর্তমান শিরোপাধারীরা উঠে আসে কোয়ার্টার ফাইনালে। ইতালীয় ক্লাব জুভেন্টাস ঘরের মাঠে টটেনহ্যামের সঙ্গে ২-২ ব্যবধানে ড্র করলেও ইংলিশ ক্লাবটির মাঠে গিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় ২-১ ব্যবধানে। গত চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে এই মাদ্রিদের বিপক্ষে হেরেই শিরোপা না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়েছিল জুভেন্টাস।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হতাশায় পুড়িয়ে সেভিয়া জায়গা করে নেয় কোয়ার্টার ফাইনালে। ঘরের মাঠে ড্র করলেও ওল্ড ট্রাফোর্ডে ২-১ ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় স্প্যানিশ ক্লাবটি। বেসিকতাসের বিপক্ষে দুই লেগেই বায়ার্ন মিউনিখ প্রাধান্য বিস্তার করেই জিতেছে। জার্মান ক্লাবটির আট গোলের বিপরীতে তুর্কিশ ক্লাবটির পেয়েছিল মাত্র এক গোল।
অন্যদিকে বার্সেলোনা আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসির নৈপুণ্যে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছে চেলসিকে। লন্ডন আর ন্যু-ক্যাম্পের দুই লড়াইয়ে মোট তিন গোল করেছিলেন মেসি। অন্যদিকে শাখতারের বিপক্ষে তাদের মাঠে ২-১ গোলে হেরেছিল রোমা। কিন্তু ঘরের মাঠে ১-০ ব্যবধানে জয়ের পাশাপাশি অ্যাওয়ে গোলের হিসেবে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট হাতে পায় ইতালির ক্লাবটি।
এফসি পোর্তোর বিপক্ষে তাদেরই মাঠে ০-৫ ব্যবধানে বড় জয় পায় লিভারপুল। ঘরের মাঠে ড্র পেলেও লিভারপুলের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে কোনো সমস্যা হয়নি। অন্যদিকে এফসি বাসেলকে তাদের মাঠে ০-৪ ব্যবধানে হারানোর পর ঘরের মাঠেও ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ম্যানসিটি।
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগ শেষ হওয়ার দিন ছয়েক পর ১১ এপ্রিল ও ১২ এপ্রিলে মাঠে গড়াবে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগ। ২৪ অথবা ২৫ এপ্রিল থেকে শুরু হবে সেমিফাইনালের লড়াই। চার দলের লড়াই শেষে সেরা দুই দল নিয়ে ২৬ মে ইউক্রেনের কিয়েভে মাঠে গড়াবে চ্যাম্পিয়নসের লিগের ফাইনাল।