একই দিনে রূপগঞ্জ ও আবাহনীর জয়

দেখতে দেখতে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) সুপার লিগও চলে এসেছে শেষ পর্যায়ে। আজ সোমবার জিতেছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ও আবাহনী লিমিটেড। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দলের জয়ের দিনে জয় পেয়েছে শেখ কামাল ধানমণ্ডি ক্লাবও।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে মোহাম্মদ শহীদের দারুণ বোলিংয়ে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে আট উইকেটে পরাজিত করেছে রূপগঞ্জ। ৪৫.৫ ওভারে মাত্র ১৫২ রানেই অলআউট হয় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম ও উইকেটরক্ষক জাকির আলী গাজী গ্রুপের হয়ে করেছেন যথাক্রমে ৩১ ও ৩০ রান। শহীদ নিয়েছেন চার উইকেট।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই আব্দুল মজিদ ফিরে গেলেও ১৫৩ রানের মামুলি লক্ষ্য সহজেই অতিক্রম করে রূপগঞ্জ। অভিষেক মিত্র ৬১ বল খেলে ৫৭ রানে ছিলেন অপরাজিতই। মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস। মোহাম্মদ শহীদ নির্বাচিত হন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কারের জন্য।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডয়ামে আবাহনীর বিপক্ষে ১২৭ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি। প্রথমে ব্যাট করা আবাহনী নাজমুল হোসেন শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজের অর্ধশতকে স্কোরকার্ডে তোলে ২৪১ রান।
শান্তর সংগ্রহ ছিল ৫৬ বলে ৫৪ রান, ৪৪ বলে মিরাজ করেছেন ৫০ রান। মাত্র ১০ রান দিয়ে খেলাঘরের আব্দুল হালিম চার উইকেট না নিলে আবাহনীর সংগ্রহটা আরো বড় হলেও হতে পারত।
মাশরাফি বিন মর্তুজার লিস্ট ‘এ’র এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়ার দিন খেলাঘর গুটিয়েছে মাত্র ১১৪ রানেই। বড় ব্যবধানের জয় পাওয়ার দিন মাশরাফির ঝুলিতে গেছে তিন উইকেট। মিরাজের হাতে তুলে দেওয়া হয় ম্যাচসেরার পুরস্কার।
সব মিলিয়ে এই আসরে জাতীয় ওয়ানডে দলের অধিনায়কের সংগ্রহ ৩৮ উইকেট। এর আগে ৩৫ উইকেট নিয়ে ডিপিএল আসরে সর্বোচ্চ উইকেটের রেকর্ডটা ছিল আবু হায়দার রনির দখলে।
এদিকে বিকেএসপিতে অল্প পুঁজি গড়েও ম্যাচ জিতে নিয়েছে শেখ জামাল। প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবকে ধানমণ্ডির ক্লাবটি পরাজিত করেছে ১০ রানে।
২০০ রানের নিচে গুটিয়ে যাওয়া শেখ জামালের সংগ্রহ ছিল ১৮৩ রান। তানবীর হায়দার দলের পক্ষে করেছেন সর্বোচ্চ ৪৩ রান। দোলেশ্বরের হয়ে জাকারিয়া মাসুদ নিয়েছিলেন তিন উইকেট।
নিজেদের ইনিংসে মাত্র ১০৯ রানে নয় উইকেট হারিয়ে দোলেশ্বর তখন ক্ষণ গুনছিল পরাজয়ের প্রহর। অবশ্য দুই বোলার আরাফাত সানি ও সালাউদ্দিনের দশম উইকেট জুটি ফের আলো দেখায় দোলেশ্বরদের। তবে দলকে জেতাতে পারেননি ৬৪ রানের জুটি গড়া এই দুজন।
ব্যাট হাতে দলের বিপর্যয়ে দাঁড়ানর পর ১৭৩ রানে দোলেশ্বরকে থামিয়ে দেওয়ার পথে তানবীর তুলে নেন চার উইকেট। দুই বিভাগে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখানো এই লেগস্পিনারকেই বেছে নেওয়া ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে।